নিউজ পোল ব্যুরো: মুম্বইতে বৃদ্ধ বাবার সঙ্গে থাকতেন অভিশপ্ত এয়ার ইন্ডিয়া -১৭১ বিমানের পাইলট ক্যাপটেন সুমিত সভরওয়াল। তাঁর হাতেই ছিল বিমান ও বিমানের যাত্রীদের সুরক্ষার দায়িত্ব। তিনি যে সে পালইট ছিলেন না। এয়ার ইন্ডিয়ার পাইলট ক্যাপটেন সুমিত সভরওয়াল। ছিলেন একজন অভিজ্ঞ পাইলট যিনি তাঁর নিষ্ঠা এবং ব্যতিক্রমী দক্ষতার জন্য গভীরভাবে শ্রদ্ধাশীল। বৃহস্পতিবার এয়ার ইন্ডিয়ার এআই-১৭১ বিমানের প্রধান পাইলট ছিলেন সুমিত (Captain Sumeet Sabharwal )। তিনি ভেবেছিলেন চাকরি ছেড়ে নবতিপর বৃদ্ধ বাবাকে সময় দেওয়ার কথা। বাবাকে দিয়েও গিয়েছিলেন কথা। কিন্তু সেই কথা আর রাখা হল না। তার আগেই মুহূর্তে সমস্ত কিছু শেষ হয়ে গিয়েছে।
এই প্রাণঘাতী বিমান দুর্ঘটনার মাত্র তিন দিন আগে, সাভারওয়াল তাঁর অসুস্থ বাবাকে কথা দিয়েছিলেন তিনি চাকরি ছেড়ে দেবেন এবং এবং বাবার যত্ন নেওয়ার জন্য বাড়িফিরে আসবেন। মহারাষ্ট্রের শিবসেনা বিধায়ক দিলীপ লান্ডে, যিনি শোকাহত পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে মুম্বাইয়ের বাসভবনে গিয়েছিলেন। সেখানে গিয়েই তিনি হৃদয় বিদারক দৃশ্যের বর্ণনা দিয়েছেন। বিধায়ক জানিয়েছেন পাইলটের বাবা, বিধ্বস্ত এবং অসহায় হয়ে পড়েছেন এবং তাঁর কথা বলতে কষ্ট হচ্ছিল। ছেলের এই মর্মান্তিক পরিণতিতে বাবার চোখ ভিজে গিয়েছে। শিবসেনা বিধায়ক বলেছেন, ‘‘কিছু দিন আগেই সুমিত বাবাকে বলেছিলেন, তিনি চাকরি ছেড়ে দেবেন। বাবাকে দেখবেন। বাবাকে তেমনই কথা দিয়েছিলেন।’’ মুম্বইয়ের বাড়িতে বাবার সঙ্গে একাই থাকতেন ৫৫ বছরের সুমিত। বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হননি। এয়ার ইন্ডিয়া বিমানের দুর্ঘটনার পর তাঁর এক প্রতিবেশী বলেছেন, ‘‘বাবার জন্য খুব চিন্তা করতেন সুমিত। যখনই বাইরে যেতেন, আমাদের বলে যেতেন ওঁর বাবার খেয়াল রাখতে। ওঁর মৃত্যুর খবরে ওঁর বাবা বিধ্বস্ত।’’
আরও পড়ুনঃ Apache helicopter : জরুরি ভাবে নামানো হল বায়ু সেনার অ্যাপাচি হেলিকপ্টারকে, কি এমন ঘটল…
দিলীপ লান্ডে আরও বলেছেন, “আমি কীভাবে কথা শুরু করব বুঝতে পারছিলাম না। তার বাবা একটা কথাও বলতে পারছিলেন না। তার চোখ অশ্রুতে ভরে উঠছিল। তিনি আমাকে বলেছিলেন যে সুমিত মাত্র তিন দিন আগে তার সাথে কথা বলেছিল, সে বলেছিল যে সে বিমান চালানো ছেড়ে তার যত্ন নেওয়ার জন্য বাড়িতে আসতে চায়।” সবরওয়াল তার বাবার সাথে মুম্বাইয়ের পোওয়াই এলাকায় থাকতেন। তাঁর বাবাও সিভিল এভিয়েশন ডিরেক্টরেট জেনারেল (DCGA)-তে চাকরি করতেন। সবরওয়ালের পারিবারিক বন্ধু উইং কমান্ডার (অবসরপ্রাপ্ত) সঞ্জয় পাই সুমিতকে সমাজের একজন খুব ভালো লোক বলে উল্লেখ করে বলেছেন, “গতকাল যখন সমাজের সদস্যরা তার মৃত্যুর খবর জানতে পেরেছিলেন, তখন আমরা সবাই হতবাক হয়ে গিয়েছিলাম। অনেক মানুষ তার পরিবারের সাথে দেখা করতে এসেছিলেন। বিশ্বাস করা কঠিন যে তিনি আর নেই।” ক্যাপটেন সুমিত সভরওয়ালের (Captain Sumeet Sabharwal ) ৮,২০০ ঘন্টা বাইক চালানোর অভিজ্ঞতা ছিল। তাছাড়াও এয়ার ইন্ডিয়ার লাইন ট্রেনিং ক্যাপ্টেন ছিলেন তিনি।
নিউজ পোল বাংলা ইউটিউব লিঙ্ক:- https://youtube.com/@newspolebangla?si=mYrQvXTBQ1lG3NFT
