নিউজ পোল ব্যুরো: বধূ নির্যাতনের সব থেকে মাতাত্মক কেস 498। একবার এই মামলাতে নাম জড়ালে জীবনটাই শেষ। গৃহবধূ নির্যাতনে এই মামলা দায়ের করা হয় স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে। তবে অনেক পরিবার আবার এই মিথ্যে মামলার শিকার হন। তেমনই একটি ঘটনার কথা সামনে এসেছে রাজস্থানের অন্তাহ থেকে। স্বামীর বিরুদ্ধে পণের জন্য নির্যাতনের অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেছেন স্ত্রী। এই মামলা মিথ্যা বলে আইনের সাহায্য চাইলেও মেলেনি সুরাহা। ঠিক সেই কারণেই এবার শ্বশুরবাড়ির সামনে চায়ের দোকান খুললেন রাজস্থানের যুবক। দোকানের নাম দিয়েছেন ‘498A T Cafe’. (498 A Tea Cafe) ।
কৃষ্ণকুমার ধাকড় নামের এক যুবক শুধু চায়ের দোকানের নাম ‘498A T Cafe’. (498 A Tea Cafe) রাখেননি সঙ্গে আসামির মত হাতে হাতকড়া পরে চা বিক্রি করছেন। গত তিন বছর ধরে যে যন্ত্রণা এবং অপমান সহ্য করেছেন তার প্রতীক হিসেবেই এই সিদ্ধন্ত বলেই জানিয়েছেন যুবক। তার চা স্টলের চারপাশে ব্যানার এবং পোস্টারে লেখা রয়েছে স্লোগানও। যেখানে লেখা “যতক্ষণ না আমি ন্যায়বিচার পাব, চা ফুটতে থাকবে” এবং ‘আও চায় পর করেঁ চর্চা, ১২৫ মেঁ কিতনা দেনা পড়েগা খরচা’। অর্থাৎ তিনি চায়ের দোকানে আসা সকলকে ভারতীয় দণ্ডবিধির অনুচ্ছেদ ১২৫-এর আওতায় স্ত্রীকে কত খোরপোশ দিতে হবে তা নিয়ে আলোচনার আহ্বান জানিয়েছেন। এই পোস্ট সামনে আসার পরেই রীতিমত তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে। কৃষ্ণকুমার জানিয়েছেন, “মিথ্যা মামলার কারণে সবকিছু ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। গত তিন বছর ধরে, আমি ন্যায়বিচারের জন্য আদালত থেকে আদালতে ঘুরে বেড়াচ্ছি। আমার একজন বৃদ্ধ মা আছেন যিনি আমার উপর নির্ভরশীল। আমি একটি টিনের চালার নিচে থাকি এবং আমার কিছুই অবশিষ্ট নেই। অনেকবার আমি আমার জীবন শেষ করার কথা ভেবেছিলাম, কিন্তু তারপর মনে পড়ল আমিই আমার মায়ের একমাত্র ভরসা।” এর পরেই তিনি বলেন, “আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে আইনের অপব্যবহারের কারণে আমি যে এলাকায় আটকা পড়েছিলাম, সেখানেই চা বিক্রি করে আমি নিরপেক্ষভাবে এই আইনি লড়াই লড়ব।”
২০১৮ সালে ধাকড় মীনাক্ষী মালভকে বিয়ে করেন। তাঁরা একসাথে মৌমাছি পালন ব্যবসা শুরু করেন, স্থানীয় মহিলাদের স্বনির্ভর করেন এবং স্বীকৃতি অর্জন করেন। মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান এমনকি ২০২১ সালে নারীর ক্ষমতায়নের প্রতীক হিসেবে তাঁদের ‘হানি এন্টারপ্রাইসের’ উদ্বোধনও করেন। তারপরেই ২০২২ সালে, কৃষ্ণার স্ত্রী কোনও সতর্কবার্তা ছাড়াই তাদের বাড়ি ছেড়ে তার বাবা-মায়ের বাড়িতে ফিরে যান এবং কয়েক মাস পরে, তিনি কৃষ্ণার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৮এ ( পণ চাওয়া) এবং ১২৫ ধারা ( পূর্ণ ভরণপোষণ) এর অধীনে মামলা দায়ের করেন। মামলার পরেই তিনি নিমুচের আথানা থেকে প্রায় ২২০ কিলোমিটার দূরে আদালতের শুনানির জন্য নিয়মিত আন্তায় যান। এবং 498 A Tea Cafe খোলার সিদ্ধন্ত নেন। কৃষ্ণকুমারের কথায়, “প্রতিবারই আমি আদালতে যাই, আমি কেবল তারিক পে তারিক (স্থগিতাদেশের পর স্থগিতাদেশ) পাই। ন্যায়বিচার কোথাও দেখা যাচ্ছে না। এখন আমি ক্লান্ত এবং আন্তায় একটি চায়ের দোকান চালিয়ে এই আইনি লড়াই লড়ব বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।” তবে তবে, তার স্ত্রী মীনাক্ষী মালভ অভিযোগ করেছেন, “সে আমার বাবার কাছ থেকে জমি কেনার জন্য টাকা চেয়েছিল। আমরা যখন তা করতে অস্বীকৃতি জানাই, তখন সে আমাকে মারধর করে। তারপর আমি আমার বাবার বাড়িতে ফিরে আসি। আমি বিবাহবিচ্ছেদের জন্য প্রস্তুত, তবে প্রথমে আমার নামে নেওয়া সমস্ত ঋণ শোধ করতে হবে।”
পণ চাওয়া ও নির্যাতনের মিথ্যা মামলা স্ত্রীর, শ্বশুর বাড়ির সামনে 498A T Cafe নামের চায়ের দোকান খুললেন যুবক
নিউজ পোল ব্যুরো: বধূ নির্যাতনের সব থেকে মাতাত্মক কেস 498। একবার এই মামলাতে নাম জড়ালে জীবনটাই শেষ। গৃহবধূ নির্যাতনে এই মামলা দায়ের করা হয় স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে। তবে অনেক পরিবার আবার এই মিথ্যে মামলার শিকার হন। তেমনই একটি ঘটনার কথা সামনে এসেছে রাজস্থানের অন্তাহ থেকে। স্বামীর বিরুদ্ধে পণের জন্য নির্যাতনের অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেছেন স্ত্রী। এই মামলা মিথ্যা বলে আইনের সাহায্য চাইলেও মেলেনি সুরাহা। ঠিক সেই কারণেই এবার শ্বশুরবাড়ির সামনে চায়ের দোকান খুললেন রাজস্থানের যুবক। দোকানের নাম দিয়েছেন ‘498A T Cafe’. (498 A Tea Cafe) ।
কৃষ্ণকুমার ধাকড় নামের এক যুবক শুধু চায়ের দোকানের নাম ‘498A T Cafe’. (498 A Tea Cafe) রাখেননি সঙ্গে আসামির মত হাতে হাতকড়া পরে চা বিক্রি করছেন। গত তিন বছর ধরে যে যন্ত্রণা এবং অপমান সহ্য করেছেন তার প্রতীক হিসেবেই এই সিদ্ধন্ত বলেই জানিয়েছেন যুবক। তার চা স্টলের চারপাশে ব্যানার এবং পোস্টারে লেখা রয়েছে স্লোগানও। যেখানে লেখা “যতক্ষণ না আমি ন্যায়বিচার পাব, চা ফুটতে থাকবে” এবং ‘আও চায় পর করেঁ চর্চা, ১২৫ মেঁ কিতনা দেনা পড়েগা খরচা’। অর্থাৎ তিনি চায়ের দোকানে আসা সকলকে ভারতীয় দণ্ডবিধির অনুচ্ছেদ ১২৫-এর আওতায় স্ত্রীকে কত খোরপোশ দিতে হবে তা নিয়ে আলোচনার আহ্বান জানিয়েছেন। এই পোস্ট সামনে আসার পরেই রীতিমত তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে। কৃষ্ণকুমার জানিয়েছেন, “মিথ্যা মামলার কারণে সবকিছু ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। গত তিন বছর ধরে, আমি ন্যায়বিচারের জন্য আদালত থেকে আদালতে ঘুরে বেড়াচ্ছি। আমার একজন বৃদ্ধ মা আছেন যিনি আমার উপর নির্ভরশীল। আমি একটি টিনের চালার নিচে থাকি এবং আমার কিছুই অবশিষ্ট নেই। অনেকবার আমি আমার জীবন শেষ করার কথা ভেবেছিলাম, কিন্তু তারপর মনে পড়ল আমিই আমার মায়ের একমাত্র ভরসা।” এর পরেই তিনি বলেন, “আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে আইনের অপব্যবহারের কারণে আমি যে এলাকায় আটকা পড়েছিলাম, সেখানেই চা বিক্রি করে আমি নিরপেক্ষভাবে এই আইনি লড়াই লড়ব।”
২০১৮ সালে ধাকড় মীনাক্ষী মালভকে বিয়ে করেন। তাঁরা একসাথে মৌমাছি পালন ব্যবসা শুরু করেন, স্থানীয় মহিলাদের স্বনির্ভর করেন এবং স্বীকৃতি অর্জন করেন। মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান এমনকি ২০২১ সালে নারীর ক্ষমতায়নের প্রতীক হিসেবে তাঁদের ‘হানি এন্টারপ্রাইসের’ উদ্বোধনও করেন। তারপরেই ২০২২ সালে, কৃষ্ণার স্ত্রী কোনও সতর্কবার্তা ছাড়াই তাদের বাড়ি ছেড়ে তার বাবা-মায়ের বাড়িতে ফিরে যান এবং কয়েক মাস পরে, তিনি কৃষ্ণার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৮এ ( পণ চাওয়া) এবং ১২৫ ধারা ( পূর্ণ ভরণপোষণ) এর অধীনে মামলা দায়ের করেন।
মামলার পরেই তিনি নিমুচের আথানা থেকে প্রায় ২২০ কিলোমিটার দূরে আদালতের শুনানির জন্য নিয়মিত আন্তায় যান। এবং 498 A Tea Cafe খোলার সিদ্ধন্ত নেন। কৃষ্ণকুমারের কথায়, “প্রতিবারই আমি আদালতে যাই, আমি কেবল তারিক পে তারিক (স্থগিতাদেশের পর স্থগিতাদেশ) পাই। ন্যায়বিচার কোথাও দেখা যাচ্ছে না। এখন আমি ক্লান্ত এবং আন্তায় একটি চায়ের দোকান চালিয়ে এই আইনি লড়াই লড়ব বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।” তবে তবে, তার স্ত্রী মীনাক্ষী মালভ অভিযোগ করেছেন, “সে আমার বাবার কাছ থেকে জমি কেনার জন্য টাকা চেয়েছিল। আমরা যখন তা করতে অস্বীকৃতি জানাই, তখন সে আমাকে মারধর করে। তারপর আমি আমার বাবার বাড়িতে ফিরে আসি। আমি বিবাহবিচ্ছেদের জন্য প্রস্তুত, তবে প্রথমে আমার নামে নেওয়া সমস্ত ঋণ শোধ করতে হবে।”
নিউজ পোল বাংলা ইউটিউব লিঙ্ক:- https://youtube.com/@newspolebangla?si=mYrQvXTBQ1lG3NFT
