নিউজ পোল ব্যুরো: মাত্র কয়েক সেকেন্ডের ফ্লাইট যাত্রার পর ভেঙে পড়ল বিমান। কী ঘটেছিল সেই গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে? উত্তর লুকিয়ে থাকে ব্ল্যাক বক্সে (Black Box)। এই বিশেষ যন্ত্রটি বিমানের অজস্র গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংরক্ষণ করে, যা পরবর্তীকালে দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ জানতে সাহায্য করে।
আরও পড়ুন: Darshana Banik: ‘মা হচ্ছি না’— গুঞ্জনের জবাব দিলেন দর্শনা
একটি বিমান সাধারণত দুটি ব্ল্যাক বক্স বহন করে—ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার (FDR) ও ককপিট ভয়েস রেকর্ডার (CVR)। FDR বিমানের গতি, উচ্চতা, দিকনির্দেশ, জ্বালানির ব্যবহারসহ ৮৮টির বেশি তথ্য রেকর্ড করে, যা প্রায় ২৫ ঘণ্টার ফ্লাইট ডেটা ধরে রাখতে পারে। অপরদিকে, CVR ককপিটে পাইলট ও ক্রু-র কথাবার্তা, রেডিও বার্তা এবং আশপাশের শব্দ রেকর্ড করে, যা তদন্তে অত্যন্ত সহায়ক।
এই ব্ল্যাক বক্স দুটি সাধারণত বিমানের লেজের দিকে থাকে, কারণ দুর্ঘটনার সময় ওই অংশ তুলনামূলকভাবে কম ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যন্ত্র দু’টি এমনভাবে তৈরি যে, তা অগ্নি, জল, চাপ ও সংঘর্ষ সহ্য করতে পারে। এ ছাড়া ব্ল্যাক বক্স থেকে বিশেষ সিগন্যাল পাঠানো হয়, যা সমুদ্রের প্রায় ১৪,০০০ ফুট নিচ থেকেও উদ্ধারকারীদের খোঁজে সহায়তা করে।
১৯৫৩ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিজ্ঞানী ডেভিড ওয়ারেন প্রথম এই ধারণা দেন। তিনি বিমানের ককপিটের কণ্ঠস্বর রেকর্ড করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন এবং ১৯৫৬ সালে ব্ল্যাক বক্সের প্রটোটাইপ তৈরি করেন।
আজ ব্ল্যাক বক্স শুধু তথ্য সংগ্রহ নয়, দুর্ঘটনার পর নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঢেলে সাজানোর অন্যতম মাধ্যম। প্রতিটি ঘটনার তথ্য থেকে তৈরি করা যায় ঘটনার অ্যানিমেশন, যা তদন্তকে করে আরও নিখুঁত।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথা, এই যন্ত্রের রং আসলে কালো নয়—কমলা। কারণ দুর্ঘটনার ধ্বংসাবশেষের মধ্যেও যেন সহজে খুঁজে পাওয়া যায়।
সার্বিকভাবে ব্ল্যাক বক্স (Black Box) বিমান নিরাপত্তার ক্ষেত্রে একটি অপরিহার্য প্রযুক্তি, যা অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতের দুর্ঘটনা রোধে বড় ভূমিকা রাখে।
নিউজ পোল বাংলা ইউটিউব লিঙ্ক: https://youtube.com/@newspolebangla?si=mYrQvXTBQ1lG3NFT