নিউজ পোল ব্যুরো:রহস্য আর অলৌকিকতার দেশ ভারতবর্ষ। হাজার হাজার বছরের ইতিহাসে ভরপুর আমাদের মাটি এমন কিছু কিছু স্থানকে বুকে ধরে রেখেছে, যাদের ঘিরে আজও রয়েছে অজস্র প্রশ্ন, কল্পনা আর ভয়। তেমনই একটি জায়গা রাজস্থানের বারমের জেলার সিহনি গ্রামে অবস্থিত কিরাডু মন্দির (Rajasthan’s haunted Kiradu Temple)!দিনের আলোয় এটি পর্যটকদের জন্য এক আকর্ষণীয় দর্শনীয় স্থান হলেও, সন্ধ্যা নামতেই মন্দিরটিকে ঘিরে তৈরি হয় অদ্ভুত গা ছমছমে পরিবেশ। স্থানীয়রা বিশ্বাস করেন, সূর্য ডোবার পর যদি কেউ এই মন্দিরে প্রবেশ করেন, তবে আর জীবিত অবস্থায় ফিরতে পারেন না—কেউ কেউ বলেন, তারা পাথরের মূর্তি হয়ে যান!
এই বিশ্বাসের পেছনে রয়েছে এক পুরনো জনশ্রুতি। বহু বছর আগে এক সাধু ও তাঁর শিষ্যরা এখানে বাস করতেন। একদিন তাঁর এক শিষ্য গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। তখন গ্রামবাসীদের কাছে সাহায্যের আবেদন করা হলেও, কেউ এগিয়ে আসেননি। তখন সেই সাধু রেগে গিয়ে গ্রামবাসীদের অভিশাপ দেন—যাঁদের হৃদয় পাষাণ, তাঁদের রূপও হোক পাষাণের মতো। অভিশাপের ফলে গোটা গ্রামের মানুষ পাথরে পরিণত হন বলে মনে করা হয়।
তবে একটি মেয়ে সাহায্য করেছিলেন শিষ্যটিকে। সেই কারণে সাধু তাঁকে বলেন—এই গ্রাম ছেড়ে চলে যেতে হবে, কিন্তু পেছনে ফিরে তাকানো যাবে না। কৌতূহলের বশে সে ফিরে তাকাতেই সেও পাথর হয়ে যায়।এই ভয়ানক কাহিনির জন্যই আজও গ্রামের মানুষ ও পর্যটকরা সন্ধ্যার পর কিরাডু মন্দিরে পা রাখেন না। স্থানীয়রা বিশ্বাস করেন, রাতে এখানে ছায়ামূর্তি ঘোরে, নিঃশ্বাসের শব্দ শোনা যায়, যেন পাথরের শরীর থেকে প্রাণ বেরিয়ে আসছে।
নিউজ পোল বাংলা ইউটিউব লিঙ্ক:https://youtube.com/@newspolebangla?si=mYrQvXTBQ1lG3NFT
ভাস্কর্য ও স্থাপত্যের দিক থেকে কিরাডু মন্দির অপূর্ব (Rajasthan’s haunted Kiradu Temple)!খাজুরাহোর মতো সূক্ষ্ম কারুকাজের জন্য একে ‘রাজস্থানের খাজুরাহো’ও বলা হয়। মন্দিরের প্রধান দেবতা শিব, এবং ষষ্ঠ শতকে কিরাদবংশীয় রাজারা এখানে রাজত্ব করতেন।আজও সেই মন্দিরে দিনের আলোয় পর্যটকদের ভিড় থাকলেও, সন্ধ্যা নামলেই সেখানে নেমে আসে নিস্তব্ধতা, ভয় আর রহস্যের ছায়া।