Rajnath Singh China visit:গালওয়ান সংঘাতের পর প্রথমবার চিন সফরে যেতে পারেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী,নজর কূটনৈতিক বার্তার দিকে!

রাজনীতি রাজ্য

নিউজ পোল ব্যুরো:গালওয়ান সংঘাতের ছায়া এখনও পুরোপুরি কাটেনি। তার মধ্যেই এবার চিন সফরে যেতে পারেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh China visit)। সূত্রের খবর, চলতি মাসের শেষদিকে চিনের কিংডাও শহরে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন (SCO)-এর সদস্য রাষ্ট্রগুলির প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের বৈঠক। সেই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে রাজনাথের। এটি তাঁর প্রথম চিন সফর প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে, এবং গালওয়ান পরবর্তী প্রথম কোনও ভারতীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রীর চিন সফর।

আরও পড়ুন:https://thenewspole.com/2025/06/15/kedarnath-helicopter-crash-5-dead-2-missing-ndrf-rescue-operation/

SCO-র দশ সদস্য—ভারত, চিন, পাকিস্তান, রাশিয়া, ইরান, কাজাখস্তান, কিরঘিজস্তান, উজবেকিস্তান, বেলারুশ ও তুর্কমেনিস্তান এই বৈঠকে অংশ নেবে। পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খোয়াজা আসিফও এই বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পারেন বলে খবর। এমন পরিস্থিতিতে চিন সফরের কূটনৈতিক গুরুত্ব আলাদা করে দেখছে আন্তর্জাতিক মহল।

সফরকালীন চিনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী অ্যাডমিরাল ডং জুনের সঙ্গে রাজনাথ সিংয়ের (Rajnath Singh China visit) দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের সম্ভাবনাও রয়েছে। যদিও সফরের দিনক্ষণ ও নির্দিষ্ট কর্মসূচি এখনও চূড়ান্ত হয়নি।

প্রসঙ্গত, গালওয়ান সংঘাতের চার বছর পর ফের বরফ গলতে শুরু করেছে ভারত-চিন সম্পর্কের আবহে। দিল্লিতে সম্প্রতি ভারতের বিদেশসচিব বিক্রম মিস্রি ও চিনের উপ-বিদেশমন্ত্রী সান ওয়েইডংয়ের মধ্যে বৈঠক হয়। সেখানে ভারত-চিন বিমান পরিষেবা পুনরায় চালুর বিষয়েও আলোচনা হয়। একইসঙ্গে মানস সরোবর যাত্রা পুনরায় শুরু হওয়ার দিকেও নজর দিচ্ছে দুই দেশ।

তবে এই সফর ঘিরে একাধিক জটিলতা রয়ে গিয়েছে। কারণ, পহেলগাঁও হামলা এবং অপারেশন সিঁদুর চলাকালীন পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়েছে চিন। চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর (CPEC) নিয়ে ভারতের আপত্তি দীর্ঘদিনের। এবার সেই স্পর্শকাতর বিষয়গুলি চিনের মাটিতেই তুলবেন কি রাজনাথ? SCO-র মঞ্চে চিন-পাক সম্পর্কের ছায়া কতটা পড়বে ভারত-চিন বৈঠকে, সেটাই এখন মূল প্রশ্ন।

নিউজ পোল বাংলা ইউটিউব লিঙ্ক:https://youtube.com/@newspolebangla?si=mYrQvXTBQ1lG3NFT

এই সফরের মাধ্যমে ভারত-চিন সম্পর্ক নতুন দিশা পাবে, নাকি উত্তেজনার আবহে নতুন কূটনৈতিক সমীকরণ তৈরি হবে—সেদিকেই তাকিয়ে আন্তর্জাতিক মহল।