Meghalaya Honeeymoon: মধুচন্দ্রিমার ছদ্মবেশে খুন! রাজা রঘুবংশী হত্যা মামলায় চাপাতি উদ্ধার চাঞ্চল্য

দেশ

নিউজ পোল ব্যুরো: স্বপ্ন ছিল মেঘালয়ের সোহরার বর্ষায় ভালোবাসা ভেজা কয়েকটা দিন কাটানোর। কিন্তু সেই স্বপ্ন মুহূর্তেই রূপ নিল এক ভয়াবহ দুঃস্বপ্নে (Meghalaya Honeeymoon)। ইন্দোরের (Indore) তরুণ ব্যবসায়ী রাজা রঘুবংশী (২৯) তার নববিবাহিতা স্ত্রী সোনম (২৫)-এর সাথে মধুচন্দ্রিমার জন্য গিয়েছিলেন মেঘালয়ে। কিন্তু ২৩ মে-র পর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন তারা। ২ জুন পূর্ব খাসি পাহাড় জেলার জঙ্গলে উদ্ধার হয় রক্তাক্ত রাজার মরদেহ।

আরও পড়ুন: G7 Summit: নিশ্চয়তা নেই প্রধানমন্ত্রী মোদীর G7 সম্মেলনে অংশগ্রহণ নিয়ে, ৬ বছরের মধ্যে প্রথমবার অনুপস্থিতির সম্ভাবনা

ঘটনা মোড় নেয় সিনেমার চিত্রনাট্যের মতো। তদন্তে উঠে আসে, এই খুন ছিল পরিকল্পিত। সোনম নিজেই তার প্রেমিক রাজ কুশওয়াহা (২০) ও আরও তিনজন বন্ধুর সহায়তায় এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড (Meghalaya Honeeymoon) ঘটায়। একাধিক চাপাতি আঘাতে রাজাকে হত্যা করা হয়, যেটি পরে ঘটনাস্থল থেকেই উদ্ধার করে পুলিশ। জানা গেছে, গুয়াহাটি রেলস্টেশনের কাছ থেকে এই অস্ত্র সংগ্রহ করা হয়েছিল।প্রথমে যাদের ভাড়াটে খুনি বলা হচ্ছিল বিশাল চৌহান, আকাশ রাজপুত ও আনন্দ কুর্মি তাদের পরিচয় সামনে আসে রাজ কুশওয়াহার বন্ধু হিসেবে। তারা সকলে হত্যার ষড়যন্ত্রে জড়িত ছিল।

সোনম, রাজ কুশওয়াহা ও বাকিদের গ্রেফতার করে ইন্দোর পুলিশ। সোনম পালিয়ে যায় উত্তর প্রদেশের (Uttarpradesh) গাজিপুরে, কিন্তু এক সপ্তাহ পর সেখানে ধরা পড়ে। পুলিশের জেরায় সে খুনের কথা স্বীকার করে এবং পুরো ষড়যন্ত্রের নেপথ্য কাহিনী খুলে বলে।

রাজার ভাই দাবি করেছেন, সোনমের বাবা-মায়েরও এই ষড়যন্ত্রে হাত থাকতে পারে। তিনি তাদের নারকো টেস্টের দাবি তুলেছেন।এই ঘটনার পর শুধু ইন্দোর নয়, সারা দেশ স্তম্ভিত! কীভাবে এক মধুচন্দ্রিমা (Meghalaya Honeeymoon) রূপ নেয় নির্মম হত্যাকাণ্ডে? কে বা কারা ছিল প্রকৃত মাস্টারমাইন্ড? উত্তর খুঁজছে মেঘালয় পুলিশের বিশেষ তদন্ত দল।

নিউজ পোল বাংলা ইউটিউব লিঙ্ক:- https://youtube.com/@newspolebangla?si=mYrQvXTBQ1lG3NFT