নিউজ পোল ব্যুরো: রাতের বেলা হঠাৎই জ্বলে উঠল আগুন! খিদিরপুরের (Khidirpur) অরফ্যানগঞ্জ মার্কেট পরিণত হল দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকা এক বিভীষিকাময় চিত্রে। রবিবার (Sunday) গভীর রাতে, প্রায় ১টা নাগাদ, আগুনের লেলিহান শিখা গ্রাস করে নেয় ঐতিহ্যবাহী এই বাজারকে (Khidirpur)। চোখের পলকে ছাই হয়ে যায় প্রায় ১৩০০ দোকান। ভস্মীভূত হয় বহু ব্যবসায়ীর রোজগারের একমাত্র অবলম্বন।
আরও পড়ুন: Ahmedabad Plane Crash: শেষ মুহূর্তে পাইলটের গলা! ‘মে’ডে’ কেন এত জরুরি?
অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয় এক গুদামে। সেখানে মজুত ছিল দাহ্য পদার্থ- তেল ও মাখন। ফলে, আগুনের বিস্তার হয় দ্রুত এবং অনিয়ন্ত্রিতভাবে। আগুন ছড়িয়ে পড়ে বাজারের (Khidirpur) এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে। এই বাজারে ছিল দামী মশলা, ফল, শুষ্ক খাবার এবং অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের অসংখ্য দোকান। অনেকেই বছর দশেক ধরে ব্যবসা চালাচ্ছিলেন এখানে।প্রথমে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা আগুন নেভাতে চেষ্টা করলেও পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যায়। অভিযোগ, দমকল ও পুলিশের সহায়তা চেয়ে বারবার ফোন করা হলেও প্রাথমিক পর্যায়ে কোনও সাড়া মেলেনি। পুলিশের ওয়াটগঞ্জ থানায় ফোন না ওঠার অভিযোগ উঠেছে। ব্যবসায়ীরা জানান, শেষমেশ ১০০ নম্বরে ফোন করলে প্রায় দেড় ঘণ্টা পরে আসে দমকলের ২০টি ইঞ্জিন।
তবে দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু (Sujit Bose) এই অভিযোগ মানতে নারাজ। তার দাবি, খবর পাওয়া মাত্রই ব্যবস্থা নেওয়া হয়। ঘিঞ্জি এলাকা হওয়ায় ইঞ্জিন পৌঁছাতে দেরি হয়েছে বলে জানান তিনি। পাশাপাশি, তদন্তে দেখা হচ্ছে আগুন লাগার প্রকৃত কারণ ও বাজারে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল কি না।
এখনও পর্যন্ত পুরোপুরি নেভেনি আগুন। কিছু জায়গায় রয়েছে ‘পকেট ফায়ার’। ধোঁয়ায় ভরে থাকা এলাকা জুড়ে এখন শুধুই ছাই আর হাহাকার। মাথায় হাত হাজার হাজার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর। বহু পরিবার এই বাজারের ওপর নির্ভর করত, আজ তারা নিঃস্ব। এই ভয়াবহ ঘটনার পর প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন — সময়মতো ব্যবস্থা নিলে কি এত বড় ক্ষতি এড়ানো যেত না?
নিউজ পোল বাংলা ইউটিউব লিঙ্ক:- https://youtube.com/@newspolebangla?si=mYrQvXTBQ1lG3NFT
