নিউজ পোল ব্যুরো: ১২ জুন ২০২৫। ভারতের আকাশে নেমে এল এক বিভীষিকা, যেখানে মাত্র ৩২ সেকেন্ডের উড্ডয়নের মধ্যেই আহমেদাবাদ (Ahmedabad) থেকে লন্ডনগামী (London) এয়ার ইন্ডিয়ার (Air India Crash) বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার বিধ্বস্ত হয়ে মাটিতে ঝরে পড়ে অন্তত ২৭০ প্রাণ। এই মর্মান্তিক ঘটনার কেন্দ্রে উঠে এসেছে এক প্রযুক্তিগত উপাদান – রাম এয়ার টারবাইন (RAT), যেটির মোতায়েন ঘটনার প্রকৃত কারণের ইঙ্গিত দিতে পারে।
আরও পড়ুন: G7-G9 Summit: জি-৭ থেকে জি-৯! বিশ্বশক্তির ভারসাম্য বদলাতে চান ট্রাম্প, সদস্য করতে চান রাশিয়া ও চিনকে
রাম এয়ার টারবাইন (RAT) একটি ছোট প্রপেলারজাতীয় যন্ত্র, যা সাধারণত ইঞ্জিন ব্যর্থতা, বৈদ্যুতিক বিভ্রাট বা জলবাহী ত্রুটির সময় স্বয়ংক্রিয়ভাবে বেরিয়ে আসে এবং বিমানে জরুরি শক্তি সরবরাহ করে। ভিডিও ও অডিও বিশ্লেষণে রাম এয়ার টারবাইন (RAT)-এর উচ্চ শব্দ এবং দৃশ্যমান উপস্থিতি নিশ্চিত করে যে, বিমানের প্রধান সিস্টেমগুলো খুব সম্ভবত একযোগে ব্যর্থ হয়েছিল। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ধরনের মোতায়েন কেবলমাত্র তিনটি সম্ভাব্য বিপর্যয়ের প্রতিফলন হতে পারে। উভয় ইঞ্জিনের ব্যর্থতা, ইলেকট্রনিকসের ভেঙে পড়া, কিংবা হাইড্রোলিক সিস্টেমের অচল হয়ে যাওয়া। প্রাক্তন বিমানবাহিনী পাইলট ক্যাপ্টেন এহসান খালিদ ইঙ্গিত দেন, এই ঘটনাটি ‘ডুয়াল ইঞ্জিন ফেইলিওরের’ মতোই আচরণ করেছে। কারণ, যদি এক ইঞ্জিন বন্ধ হত, তবে বিমানটি ডান বা বাম দিকে হঠাৎ হেলে পড়ত। বরং দেখা গেছে, বিমানটি কোনও দিক পরিবর্তন না করেই ধীরে ধীরে উচ্চতা হারাচ্ছিল—একটি স্পষ্ট নির্দেশনা যে, দুই ইঞ্জিনই একই সঙ্গে বন্ধ হয়েছে, সম্ভবত কোনও সফ্টওয়্যার ত্রুটির কারণে।
এছাড়া, দুর্ঘটনায় বেঁচে যাওয়া একমাত্র যাত্রী বিশ্বশ কুমার রমেশ জানিয়েছেন, তিনি একটি অদ্ভুত শব্দ শুনেছিলেন, যা রাম এয়ার টারবাইন-এর ঘূর্ণন হতে পারে এবং লাল-নীল আলোর ঝলক দেখেছিলেন জরুরি আলো সক্রিয় হওয়ার লক্ষণ। যদিও প্রাথমিকভাবে পাখির সঙ্গে সংঘর্ষের আশঙ্কা করা হয়েছিল, তদন্তে তার কোনও প্রমাণ মেলেনি। রানওয়েতে পাখির মৃতদেহ ছিল না, ইঞ্জিনে আগুন বা ধোঁয়ার চিহ্নও পাওয়া যায়নি।
নিউজ পোল বাংলা ইউটিউব লিঙ্ক:- https://youtube.com/@newspolebangla?si=mYrQvXTBQ1lG3NFT
