নিউজ পোল ব্যুরো: সম্প্রতি ভারত ও পাকিস্তানের (India-Pakistan) মধ্যে সংঘর্ষ বিরতির সিদ্ধান্ত ঘিরে আন্তর্জাতিক মহলে শুরু হয় জোর জল্পনা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) ইঙ্গিত দেন, এই সিদ্ধান্তে তার মধ্যস্থতাই মূল ভূমিকা পালন করেছে। এ মন্তব্য (Narendra Modi-Donald Trump) ঘিরে বিরোধী রাজনৈতিক মহল প্রশ্ন তোলে, ভারতের কূটনীতি কি আমেরিকার (America) ছায়াতলে?
আরও পড়ুন: Asim Munir: হোয়াইট হাউসে রুদ্ধদ্বার বৈঠক! ওয়াশিংটনে উত্তেজনার কেন্দ্রে পাক সেনাপ্রধান আসিম মুনির
এই প্রেক্ষিতেই ঘটনার মোড় ঘুরিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি সরাসরি ফোন করেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে (Narendra Modi-Donald Trump) এবং ৩৫ মিনিটের দীর্ঘ আলোচনায় সাফ জানিয়ে দেন, ভারত কখনও কোনও দেশের মধ্যস্থতায় আগ্রহী ছিল না, এখনও নয়। সংঘর্ষ বিরতির সিদ্ধান্ত একান্তই ভারত ও পাকিস্তানের (India-Pakistan) মধ্যে পারস্পরিক আলোচনার ফল। ইসলামাবাদের অনুরোধেই নয়াদিল্লি (New Delhi) এই পদক্ষেপে সম্মত হয়েছে।
বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রী (Bikram Misri) জানান, মোদী-ট্রাম্পের (Narendra Modi-Donald Trump) এই ফোনালাপের মূল উদ্দেশ্য ছিল সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে ভারতের অবস্থান স্পষ্ট করা। প্রধানমন্ত্রী ট্রাম্পকে জানান, পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের উপর জঙ্গি হামলার (Pahalgam Terror Attack) প্রেক্ষিতে ভারত ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor) চালায় এবং ভবিষ্যতে সন্ত্রাসবাদী হামলাকে সরাসরি যুদ্ধ বলেই গণ্য করবে ভারত। সশস্ত্র জবাব হবে উপযুক্ত।ট্রাম্পও সন্ত্রাসবাদ বিরোধী লড়াইয়ে ভারতের পাশে থাকার বার্তা দেন। তবে স্পষ্ট হয়ে যায়, সংঘর্ষ বিরতিতে আমেরিকার কোনও মধ্যস্থতা ছিল না।
প্রসঙ্গত, কানাডার জি৭ সম্মেলনে (G7 Summit) মোদী ও ট্রাম্পের সাক্ষাৎ হওয়ার কথা থাকলেও, ট্রাম্প আগেভাগেই সম্মেলন ত্যাগ করায় তা সম্ভব হয়নি। তার বদলে এই গুরুত্বপূর্ণ ফোনালাপের পথেই ভারত তার অবস্থান স্পষ্ট করে দেয়। এই কূটনৈতিক বার্তাই জানান দেয়, আত্মনির্ভর ভারতের কূটনীতি কারও সহানুভূতির অপেক্ষায় নয়। নিজ সিদ্ধান্তে, নিজের গতিতেই এগিয়ে চলেছে দেশ।
নিউজ পোল বাংলা ইউটিউব লিঙ্ক:- https://youtube.com/@newspolebangla?si=mYrQvXTBQ1lG3NFT
