নিউজ পোল ব্যুরো: দক্ষিণবঙ্গে প্রবেশ করেছে বর্ষা। নিম্নচাপের জেরে শুরু হয়েছে নাগাড়ে বৃষ্টিতে (Rain)। তাতেই ঘটেছে বিপত্তি। রাজ্যে একাধিক জেলায় নদীগুলিতে বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে জল। এতেই ঘটছে বিপত্তি। ভারী বৃষ্টিতে ঝাড়গ্রামের জামবনি ব্লকের চিল্কিগড়ে ডুলুং নদীর জলস্তর বেড়েছে। টানা বৃষ্টি ও জলস্তর বৃদ্ধির জন্য জাতীয় সড়কের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ঝাড়গ্রাম- জাম্বনির। সৃষ্টি হয়েছে বন্যা (Flood) পরিস্থিতির। জাম্বনি ব্লকের চিল্কিগড়, গিধনী সহ প্রায় ২০ টি এলাকার গ্ৰামের বাসিন্দাদের সঙ্গে শহর ঝাড়গ্রামের যোগাযোগ ব্যাবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
ফুলে ফেঁপে উঠছে ডুলুং, কংসাবতী,সুবর্ণরেখা নদীর জল। বিপদ সীমার উপর দিয়ে বইছে জল। এতেই এলাকার মানুষ প্রবল দুর্ভোগে পড়েছেন। বৃষ্টি হলেই ডুলুং নদীতে জল বাড়ে তাতেই ডুলুং নদীর উপর কজওয়ে এবং গিধনি আন্ডারপাসও জলমগ্ন হয়ে যায়। তাতেই জাম্বনি ব্লকের সঙ্গে ঝাড়গ্রামের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ওই এলাকার বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের দাবি চিলকিগড়ে ডুলুং নদীর ওপর একটি সেতু নির্মাণের । প্রতিবছর বর্ষায় চার থেকে পাঁচবার এই নদী প্লাবিত হয়। প্রতিবছরে সাধারণ মানুষ জল নিয়ে সমস্যার সম্মুখীন হন। প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে নদী পারাপার করেন। ঘুরপথে যেতে হয় হাসপাতালে। এলাকার সাধারণ মানুষ এই নদীর উপর স্থায়ী ব্রিজের দাবিতে আন্দোলন করেছেন ডেপুটেশন দিয়ে প্রশাসনকে জানিয়েছেন তার পরেও এখনও পর্যন্ত সেই ব্রিজ গড়ে ওঠেনি। স্বাধীনতার ৭৫ বছর অতিক্রান্ত হওয়া সত্ত্বেও এখনো সেতু নির্মাণ না হাওয়ায় এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে বাড়ছে ক্ষোভ।
উল্লেখ্য, শুধু ঝাড়গ্রাম নয় বাঁকুড়াতেও ফুটে উঠেছে জলযন্ত্রণার ছবি। বাঁকুড়া সদর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে মানকানালী পঞ্চায়েতের প্রায় ১৮ থেকে ২০টা গ্রাম। গন্ধেশ্বরী নদী ফুলেফেঁপে বইছে সেতুর উপর দিয়ে। আর এতেই কার যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে মানকানালী। জলের স্রোত এতটাই মারাত্মক যে এই সেতুর উপর দিয়ে পারাপার পর্যন্ত বন্ধ রয়েছে। স্কুল থেকে হাসপাতাল কোথাও যেতে পারছেন না এখানকার স্থানীয় মানুষরা। এই অঞ্চলে জলযন্ত্রণা দীর্ঘদিনের। স্থানীয় বাসিন্দাদের বরাবরের দাবি ছিল, একটি পাকা উঁচু সেতু। বহু আবেদন নিবেদনের পরেও তৈরি হয়নি এখানকার পাকা উঁচু সেতু। স্থানীয় বাসিন্দাদের আরো অভিযোগ, ভোটের সময় প্রত্যেকবার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয় গন্ধেশ্বরী নদীর উপর নতুন সেতু তৈরি করার কিন্তু কোন এক অজানা কারণে আজও হলো না এখানকার বাসিন্দাদের দাবি মত পাকা উঁচু নতুন সেতু। হাওয়া অফিস জানিয়েছে চলতি সপ্তাহজুড়েই হবে বৃষ্টি। তাই জলজন্ত্রণা থেকে মুক্তির এখনই আশা নেই। বৃষ্টিতে ফুলেফেঁপে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার উঠেছে শিলাবতী, কেঠিয়া ও কানা নদী। বন্যার (Flood) ভয়ে রাতের ঘুম উড়ছে স্থানীয়দের।
নিউজ পোল বাংলা ইউটিউব লিঙ্ক:- https://youtube.com/@newspolebangla?si=mYrQvXTBQ1lG3NFT