Calcutta High Court : ‘ভাগ্যের পরিহাস’, ভাতা বন্ধে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ নিয়ে বলছেন চাকরিহারারা

breakingnews কলকাতা শিক্ষা

নিউজ পোল বাংলা: ব্যপক দুর্নীতির কারণে সুপ্রিম কোর্ট ২০১৬ সালের এসএসসি-এর (SSC) গোটা প্যানেলকেই বাতিল করেছে। তাতেই চাকরি হারান ২৬ হাজার শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মীরা। তবে কিছুদিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্ন থেকে গ্রুপ সি-গ্রুপ ডি কর্মীদের ভাতা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন। সেই নির্দেশের পর এবার আদালতের রায়ে চাপ বাড়ল রাজ্যের। আপাতত চাকরিহারা গ্রুপ সি ও ডি কর্মীদের ভাতা দেওয়া যাবে না উল্লেখ করে এই সংক্রান্ত নির্দেশিকা খারিজ করল কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta High Court)। বিচারপতি অমৃতা সিনহা ২৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রাজ্যের নির্দেশিকায় অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দিয়েছেন। অর্থাৎ মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করলেও আপাতত ভাতা পাচ্ছেন না চাকরিহারা অশিক্ষক কর্মীরা।

২০১৬ সালের এসএসসি নিয়েই উত্তাল রাজ্য। যদিও চাকরি বাতিলের নির্দেশের পর আদালত এটাও নির্দেশ দিয়েছিল চলতি বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত স্কুলে যেতে পারবেন শিক্ষকরা। তবে শীর্ষ আদালত গ্রুপ-সি ও ডি-এর ক্ষেত্রে পুরনো নির্দেশ বহাল রাখে। আদালতের সেই নির্দেশের পরেই মুখ্যমন্ত্রী মানবিকতার খাতিরে চাকরিহারা গ্রুপ সি ও ডি কর্মীদের ভাতা দেওয়া কথা ঘোষণা করেন। জানান গ্রুপ সি কর্মীদের মাসে ২৫ হাজার টাকা ও গ্রুপ ডি কর্মীদের মাসে ২০ হাজার টাকা ভাতা দেওয়ার কথা। এই নির্দেশের বিরুদ্ধেই দায়ের করা হয় মামলা। সেই মামলারই শুনানি ছিল আজ। বিচারপতি অমৃতা সিনহা এদিন আদালতে প্রশ্ন তোলেন দুর্নীতির অভিযোগে যেখানে চাকরি গিয়েছে সেখানে কীসের ভিত্তিতে বাড়িতে বসে টাকা পাবেন চাকরিহারা অশিক্ষক কর্মীরা? পাশাপাশি তিনি আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যকে এই বিষয়ে হলফনামা পেশ করার কথাও জানান। আদালতের নির্দেশে মাথায় হাত গ্রুপ-সি ও ডি কর্মীদের।

আরও পড়ুনঃ Tharoor reminds Trump : ভুলে যাবেন না লাদেনকে পাকিস্তানই লুকিয়ে রেখেছিল, মুনিরের সঙ্গে সাক্ষাৎ নিয়ে ট্রাম্পকে খোঁচা থারুরের

আদালতের রায়কে ‘ভাগ্যের পরিহাস’ বলেই জানাচ্ছেন চাকরিহারা শিক্ষাকর্মীরা। বলছেন এই রায় দুর্ভাগ্যজনক। তাঁরা বলছেন,”অন্যের দোষে আমাদের ভুগতে হচ্ছে। ‘আমরা স্কুলে যেতে পারছি না। তিন মাস ধরে বেতন বন্ধ। এবার ভাতাও পাব না।” অন্যদিকে আদালতের রায় নিয়ে আইনজীবী ফিরদৌস শামিম বলেন, “যাঁরা সাদা খাতা জমা দিয়ে চাকরি পেয়েছেন, প্যানেলের মেয়াদ শেষে যাঁরা চাকরি পেয়েছেন, চাইলে সিবিআই তাঁদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে। এদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে, আরও অনেকের নাম বেরিয়ে আসতে পারে। তাই মুখ বন্ধ করার জন্য ঘুরপথে টাকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এটা পিঠ বাঁচানোর স্কিম ছিল।” আদালতের (Calcutta High Court) এই নির্দেশের পর চাকরিহারারা কোন পথে এগাবেন সেই দিকেই নজর থাকবে সকলের।

নিউজ পোল বাংলা ইউটিউব লিঙ্ক:- https://youtube.com/@newspolebangla?si=mYrQvXTBQ1lG3NFT