নিউজ পোল ব্যুরো: বিশ্বের হাতেগোনা কয়েকটি উন্নত দেশ যেমন আমেরিকা (America), চিন (China), কানাডা (Canada) এবং ইউরোপের (Europe) কিছু দেশ যেখানে এখনও কোয়ান্টাম কমিউনিকেশনের (India Quantum Communication) মতো জটিল প্রযুক্তিতে পুরোপুরি সফল হতে পারেনি, সেখানে ভারত নিজেদের প্রথম সফল পদক্ষেপ তুলে ধরল বিশ্বের সামনে। ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (DRDO) ও আইআইটি (IIT) দিল্লির (Delhi) যৌথ প্রয়াসে ভারত প্রথমবারের মতো দেশের মাটিতে কোয়ান্টাম কমিউনিকেশন (India Quantum Communication) সফলভাবে সম্পন্ন করল।
কিন্তু প্রশ্ন উঠতেই পারে, এই প্রযুক্তির গুরুত্ব কোথায়? সহজ ভাষায় বললে, আজকের দিনে তথ্যের নিরাপত্তা সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। হোয়াটসঅ্যাপ (Whatsapp) বা ইমেলের (Email) মতো মাধ্যমেও আমরা চাই, আমাদের মেসেজ যেন অন্য কেউ দেখতে না পায়। কোয়ান্টাম কমিউনিকেশন (India Quantum Communication) এমন একটি পদ্ধতি, যেখানে আলোর ফোটন কণার মাধ্যমে তথ্য আদান-প্রদান হয়। এই ফোটনের গতিপথ বা অবস্থান সামান্যতম পরিবর্তিত হলেই তা ধরা পড়ে যায়। ফলে কোনও থার্ড পার্টি হ্যাকারের পক্ষে সেই তথ্য চুরি করা প্রায় অসম্ভব।
এটাই এই প্রযুক্তির মূল শক্তি “আনব্রেকেবল এনক্রিপশন”। আর সেই কারণেই ডিআরডিও (DRDO) এই গবেষণার সঙ্গে যুক্ত। কারণ, ভবিষ্যতের সাইবার যুদ্ধ বা গোপনীয় সামরিক বার্তা রক্ষায় এটি হতে চলেছে গেমচেঞ্জার। প্রথম ধাপে বিজ্ঞানীরা মাত্র ১ কিলোমিটার দূরত্বে সফলভাবে কোয়ান্টাম কমিউনিকেশন চালিয়েছেন। যদিও এটা এখনই সাধারণ মানুষের হাতে পৌঁছচ্ছে না, তবে সেনা এবং উচ্চ নিরাপত্তার ক্ষেত্রগুলোতে এর ব্যবহার খুব শিগগির শুরু হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এই সাফল্যের জন্য বিজ্ঞানীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেছেন, “ভারত এখন কোয়ান্টাম সুরক্ষার যুগে প্রবেশ করল। এটি ভবিষ্যতের যুদ্ধে কৌশলগত পার্থক্য গড়ে দেবে।”
নিউজ পোল বাংলা ইউটিউব লিঙ্ক:- https://youtube.com/@newspolebangla?si=mYrQvXTBQ1lG3NFT