নিউজ পোল ব্যুরো: সম্প্রতি আহমেদাবাদে ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনার (Air India Plane Crash) সাক্ষী থেকেছেন গোটা দেশের মানুষ। বিমানবন্দর থেকে ওড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই মাটিতে আছড়ে পড়ে এয়ার ইন্ডিয়ার (Air India) সেই বিমান। ওই ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনায় প্রান হারিয়েছেন বিমানের আরোহী সহ বহু মানুষ। তবে ওই ঘটনায় অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছেন ওই বিমানের একজন মাত্র যাত্রীই। তার নাম বিশ্বাস কুমার রমেশ।
আরও পড়ুন:Shan Rukh Khan: ‘ভিলা ভিয়েনা’র ছায়ায় ‘মন্নত’? শাহরুখের বাংলোয় নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগ!
তবে চলতি সপ্তাহে সেই বিশ্বাস কুমার রমেশকে (Biswas Kumar Ramesh) ঘিরেই শোনা গেল বিতর্ক। সেই বিতর্কে জড়িয়ে পড়লেন অভিনেত্রী তথা সঙ্গীতশিল্পী সুচিত্রা কৃষ্ণমূর্তি (Suchitra Krishnamoorti) । তিনি দাবি করেছেন যে, আহমেদাবাদের এয়ার ইন্ডিয়া বিমান দুর্ঘটনার একমাত্র জীবিত থাকা ব্যক্তি ওই ঘটনা নিয়ে মিথ্যে কথা বলছেন। শুধু তাই নয়, ওই যাত্রীর বিমান দুর্ঘটনা (Air India Plane Crash) সম্মন্ধে বলা সমস্ত তথ্যের সত্যতা এবং মানসিক স্থিতিশীলতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন, সুচিত্রা। যার জেরেই শুরু হয় তীব্র সমালোচনা। পরে অবশ্য সেই পোস্ট মুছে ফেলে জনসমক্ষে ক্ষমাও চেয়ে নেন তিনি।
নিজের এক্স হ্যান্ডেলের একটি পোস্টে সুচিত্রা লিখেছেন,”এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান দুর্ঘর্টনায় (Air India Plane Crash) জীবিত থাকা ব্যক্তিকে নিয়ে করা আমার শেষ ট্যুইটটি তুলে নিলাম। মনে হচ্ছে মিথ্যা খবর ছড়িয়ে পড়েছে, এর কারণ ঈশ্বরই জানেন। আমি ক্ষমাপ্রার্থী।” এর দিন কয়েক আগেই অবশ্য সুচিত্রা কৃষ্ণমূর্তি নিজের এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করেছিলেন। সেখানে তিনি অভিযোগ তুলেছিলেন যে, “বিমান দুর্ঘটনায় বেঁচে যাওয়ার বিষয়ে মনগড়া গল্প বানাচ্ছেন রমেশ।” তিনি আরও লিখেছেন যে, “যদি এটা সত্য হয়, তাহলে কেবল গুরুতর শাস্তিই নয়, বরং ওকে মানসিক হাসপাতালে পাঠানো উচিত।” যদিও পরে অবশ্য এই পোস্ট মুছে ফেলেছেন সুচিত্রা কৃষ্ণমূর্তি।
নিউজ পোল বাংলা ইউটিউব লিঙ্ক:- https://youtube.com/@newspolebangla?si=mYrQvXTBQ1lG3NFT
শেষমেশ বিতর্কিত মন্তব্যের দায় স্বীকার করে ক্ষমা চাইলেন সুচিত্রা কৃষ্ণমূর্তি। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের আগের পোস্ট মুছে দিয়ে শান্তির বার্তাও দিলেন, তবে এই ঘটনার সুত্র ধরেই সমাজমাধ্যমে কিছুজন বলেছেন “বিপর্যয়ের অভিজ্ঞতা নিয়ে মন্তব্য করার আগে, তথ্য যাচাই কতটা গুরুত্বপূর্ণ। সমাজে সহমর্মিতা এবং সংবেদনশীলতার বার্তা যেন না হারিয়ে যায় বিতর্কের কোলাহলে।”