Toner: বর্ষায় ত্বকের তেলতেলে ভাব দূর করুন ঘরোয়া টোনারে

রূপচর্চা

নিউজ পোল ব্যুরো: বর্ষা মানে নরম বৃষ্টির স্পর্শ, আবার তার সঙ্গী হয় বিরামহীন স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়া। বাইরে মাটির গন্ধ যতই মন ভরাক, তৈলাক্ত-মিশ্র ত্বকের জন্য এই ঋতু যেন এক কঠিন পরীক্ষার মৌসুম। আর্দ্র বাতাস ত্বকে ঘাম ও অতিরিক্ত সেবামকে আটকে রেখে তৈরি করে চিটচিটে স্তর; ধুলো-ধোঁয়া জমে সেই স্তর আবার রোমছিদ্র বন্ধ করে, জন্ম দেয় ব্রণ-ফুস্কুড়ি, ব্ল্যাকহেডস এমনকি ছত্রাক সংক্রমণও। সমস্যায় পড়ে আমরা হঠাৎই ঝুঁকে পড়ি অ্যালকোহল বা হার্স কেমিক্যাল-ভিত্তিক বাজারচলতি টোনারের (Toner) দিকে—যা প্রথমে শীতল আরাম দিলেও পরে ত্বককে শুষ্ক, জ্বালা-ধরানো বা অতিসংবেদনশীল করে তোলে।

আরও পড়ুন: Haircare: চুলের জেল্লা ফেরাতে কলা: ঘরোয়া যত্নেই মিলবে মসৃণ চুল

অথচ একই কাজ—পিএইচ ভারসাম্য বজায় রেখে রোমছিদ্র পরিষ্কার ও তেল নিয়ন্ত্রণ—অতি সহজে আমরাই বাড়িতে করতে পারি এক মুঠো পরিচিত রান্নাঘরের উপাদানে। কয়েক মিনিট সময় ও সামান্য খরচেই তৈরি হবে এমন তিনটি প্রাকৃতিক টোনার, যেগুলি কেমিক্যালের ঝুঁকি ছাড়াই বর্ষাকালে আপনার ত্বককে রাখবে ঝকঝকে ও ঝলমলে।

১. গ্রিন টি টোনার

এক চা চামচ গ্রিন টি ১⁄৪ কাপ ফুটন্ত জলে তিন-চার মিনিট ফোটান। ঠান্ডা হলে মেশান ২ চা চামচ গোলাপ জল ও ৩ ফোঁটা টি-ট্রি অয়েল। স্প্রে বোতলে ভরে ফ্রিজে রাখুন এবং মুখ ধোয়ার পর সরাসরি স্প্রে করুন বা তুলোর প্যাডে নিয়ে লাগান। গ্রিন টির অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও টি-ট্রি অয়েলের অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল গুণ বাড়তি তেল শোষণ করে, লালচে ভাব কমায় ও নতুন ব্রণ গঠনে লাগাম টানে।

২. অ্যাপল সাইডার ভিনিগার টোনার

অর্ধ কাপ অ্যাপল সাইডার ভিনিগারের সঙ্গে ১ কাপ ফুটে ঠান্ডা করা জল ও অর্ধ কাপ গোলাপ জল মিশিয়ে নিন। ব্যবহার-পূর্বে বোতলটি হালকা নেড়ে তুলোর প্যাডে নিয়ে আলতো চাপুন কিংবা স্প্রে করে শুকোতে দিন। ভিনিগারের মৃদু অ্যাসিড ত্বকের পিএইচ ঠিক রাখে, রোমছিদ্র সঙ্কুচিত করে আর পুরোনো ব্রণ-দাগ হালকা করতে সাহায্য করে; গোলাপ জল দেয় তাৎক্ষণিক শীতল আরাম।

৩. শসা-পুদিনা টোনার

আধ-খানা শসা ব্লেন্ড করে এবং একমুঠো পুদিনা পাতা বেটে রস ছেঁকে নিন, এরপর ১ কাপ পরিশ্রুত জল মিশিয়ে বোতলে ভরুন। শসার হাইড্রেশন ও পুদিনার প্রাকৃতিক অ্যাস্ট্রিনজেন্ট ত্বককে শীতল রাখে, র‍্যাশ কমায় ও অতিরিক্ত তেল নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। মৃদু সবুজ সুবাস মনকেও রাখে সতেজ।

প্রাকৃতিক টোনারগুলি (Toner) নিয়মিত—দিনে দু’বার—ব্যবহার করলে মাত্র দুই-তিন সপ্তাহেই বোঝা যাবে পার্থক্য: কম তৈলাক্ত ভাব, কম ব্রণ আর বাড়তি উজ্জ্বলতা। এগুলি ফ্রিজে রেখে সর্বোচ্চ সাত দিনের মধ্যে ব্যবহার করুন, তারপর নতুন ব্যাচ বানান যাতে সংরক্ষক ছাড়াই কার্যকারিতা ও গন্ধ দুই-ই বজায় থাকে।

নিউজ পোল বাংলা ইউটিউব লিঙ্ক: https://youtube.com/@newspolebangla?si=mYrQvXTBQ1lG3NFT