নিউজ পোল ব্যুরো: সপ্তাহের শুরুতেই রাজ্য রাজনীতিতে আগুন! বিধানসভার অধিবেশনে (Legislative Assembly session) সোমবার যা ঘটল, তা নিঃসন্দেহে নজিরবিহীন। প্রশ্নোত্তর পর্বে যোগ না দিয়ে বিজেপি বিধায়কেরা (BJP MLA) সরাসরি ওয়েলে নেমে বিক্ষোভে সামিল হন। কাগজ ছেঁড়া, হইচই, চেঁচামেচি সব মিলিয়ে কার্যত অচল করে তোলেন অধিবেশন। এই ‘অসাংবিধানিক ও অসংসদীয় আচরণের’ জন্যই বিজেপির চার বিধায়ক শংকর ঘোষ, মনোজ ওঁরাও, দীপক বর্মন এবং অগ্নিমিত্রা পলকে গোটা অধিবেশন থেকে সাসপেন্ড (Suspend) করার সিদ্ধান্ত নেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় (Biman Bandyopadhyay)।
অশান্তি এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে, স্পিকার মার্শাল ডেকে ওই বিধায়কদের (BJP MLA) সভাকক্ষ থেকে বের করে দেওয়ার নির্দেশ দেন। অগ্নিমিত্রা পল ও দীপক বর্মন স্বেচ্ছায় বেরিয়ে গেলেও বাকিরা প্রতিরোধ করেন। নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি, মার্শালের কলার ধরে টানা, এমনকি হাতাহাতির অভিযোগও ওঠে বিজেপি বিধায়কদের (BJP MLA) বিরুদ্ধে। বিধায়ক মিহির গোস্বামী ও সুদীপ মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে শারীরিক বলপ্রয়োগের অভিযোগ সামনে আসে।
এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ স্পিকার অধিবেশনের মূল ফটক বন্ধ করার নির্দেশ দেন এবং বলেন, “এটা তামাশার জায়গা নয়, নিয়ম না মানলে ব্যবস্থা হবে।” পাশাপাশি, বিরোধীদের ডেস্ক ভাঙচুরের অভিযোগও ওঠে। তৃণমূলের অরূপ বিশ্বাস, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় (Sovandev Chatterjee), ফিরহাদ হাকিমদের (Firhad Hakim) অভিযোগ স্পিকারের নজরে আসতেই তিনি জানান, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অন্যদিকে, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) অধিবেশন কক্ষে একাই প্রবেশ করে স্পিকারের সামনে ভাঙা ঘড়ি ও চশমা তুলে ধরেন, যা নাকি নিরাপত্তার ধস্তাধস্তিতে বিধায়কদের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। স্পিকারের কটাক্ষ, “এটা পাড়ার রক নয়, বাইরে গিয়ে প্রেসকে বলুন।” এই পরিস্থিতিতে বিজেপি বিধায়করা অধিবেশন বয়কট করেন। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে রাজ্যের বিধানসভা কি রাজনীতি আর ক্ষমতার কুস্তির রিং হয়ে উঠল? গণতন্ত্রের মন্দিরে এমন বিশৃঙ্খলার দায় কার? প্রশ্ন তুলছে রাজ্যবাসী।
নিউজ পোল বাংলা ইউটিউব লিঙ্ক:- https://youtube.com/@newspolebangla?si=mYrQvXTBQ1lG3NFT