নিউজ পোল ব্যুরো: গোয়ালপোখর কাণ্ডে নয়া মোড়! পুলিশকে গুলি করে পালানোর চেষ্টা করেছিল সাজ্জাক আর তাতেই এনকাউন্টারে মৃত্যু হয় সাজ্জাকের। এবার এই ঘটনার মূল মাথা বাংলাদেশি নাগরিক আব্দুল হোসেনকে গ্রেফতার করল তদন্তকারী দল। সোমবার রাতে আব্দুলকে উত্তর দিনাজপুরের করণদিঘির রসখোয়া এলাকা থেকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে খবর।
সূত্রের খবর, কয়েকবছর আগে বাংলাদেশ থেকে ভারতে অনুপ্রবেশ করে আব্দুল হোসেন ওরফে আবাল। অবৈধ অনুপ্রবেশ এবং বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র রাখার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিল আব্দুল। এতদিন জেলেই ছিল। ইসলামপুরের জেলে থাকার সময় দুজনের পরিচয়। আব্দুল জামিন পেলেও মাস দুয়েক আগে ফের করণদিঘিতে আসে। তখনই সাজ্জাকের সঙ্গে দেখা করতে আসে জেলে। সাজ্জাক একটি ডাকাতির ঘটনায় জেলে ছিল । তারপর আব্দুল পরিকল্পনা করে কিভাবে সাজ্জাককে জেল থেকে বের করানো যায়। আব্দুলকেও কুকর্মের সঙ্গী করে নেয় সাজ্জাক। অস্ত্র ও মাদক পাচারের পরিকল্পনা ছিল তাদের।
তবে জেল থেকে বেরোনোর পরে দুজনেই একের পর এক কুকর্ম করছিল। অভিযোগ গোয়ালপোখরের এক তরুণীর সঙ্গে বিয়ে হয় আব্দুলের। আব্দুল শশুড়বাড়িকে নিরাপদ জায়গা বানিয়ে এই কাজগুলি করছিল। এরই মাঝে গত ১৬ তারিখ পুলিশের ওপর গুলি চালিয়ে জেল থেকে পালতে সক্ষম হয় সাজ্জাক। পরে সীমান্ত এলাকা থেকে পুলিশের এনকাউন্টারে মৃত্যু হয় সাজ্জাকের। তার কাছ থেকে মেলে একটি পিস্তল। পুলিশের অনুমান আব্দুলই কোনভাবে সাজ্জাকের হাতে ওই অস্ত্র পৌঁছে দিয়েছিল। এরপর আব্দুলের খোঁজে পুরস্কারও ঘোষণা করেছিল পুলিশ। তবে সীমানা পেরিয়ে ঝাড়খণ্ডে গা ঢাকা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল আব্দুল কিন্তু বাধা পেয়ে গোয়ালপোখরেই ফিরে আসতে হয় তাকে। শেষমেশ সোমবার করণদিঘির রসখোয়া এলাকা থেকে পুলিশের জালে ধরা পরে আব্দুল।