নিউজ পোল বিনোদন ব্যুরো : গত সোমবার রাতটি ছিল তাঁর কাছে এক ভয়াবহ রাত। কথা বলছি বর্ষীয়ান অভিনেত্রী জিনত আমনের কথা। প্রায় মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এলেন তিনি। সেই ভয়াবহ রাতের কথা সংবাদমাধ্যমকে অভিনেত্রী নিজেই জানালেন। গত সোমবার রাতে বাড়িতেই তিনি একই ছিলেন। প্রতিদিনের মতো ওষুধ খেতে গিয়েছিলেন আর তখনই ওষুধ তাঁর গলায় আটকে যায়। ওষুধটি শ্বাসনালিতে চলে যায়। এরফলে প্রায় দমবন্ধ হয়ে আসে অভিনেত্রীর। সেই সময় অভিনেত্রীর পুত্র বাড়ি ফেরেন। তিনি এসে সেই পরিস্থিতি থেকে অভিনেত্রীকে উদ্ধার করে।
অভিনেত্রী জিনত আমনের বয়স এখন ৭৩ বছর। মঙ্গলবার অভিনেত্রী তাঁর এক্স-হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট শেয়ার করে সেই ভয়াবহ রাতের কথা বলেছেন। প্রতিদিনের মতো তিনি সোমবার কাজ সেরে বাড়ি ফেরেন। বাড়িতে থাকা পোষ্যদের সঙ্গে বেশ কিছু সময় কাটান। তারপর ডিনার সেরে ঘুমোতে যান। ঘুমোতে যাওয়ার আগে প্রতিদিনের মতো ওষুধ খেতে যান। তিনি উচ্চ-রক্তচাপের ওষুধ খাচ্ছিলেন ঠিক সেইসময় ওষুধটি তাঁর গলায় আটকে যায়।
জিনত লিখেছেন, ‘প্রতিদিনের মতো আমি ঘুমোতে যাওয়ার আগে ওষুধ খেতে যাই। ওষুধটি মুখে দিয়ে একটু জল খাই। সঙ্গে সঙ্গে আমার মনে আমার দম আটকে আসছে। ওষুধটি এমনভাবে আটকে গিয়েছিল না পারছি গিলতে, না পারছি উগরে ফেলতে। শ্বাস নিতে পারছিলাম না। দম আটকে আসে, তখন আমি অনবরত জল পান করতে থাকি। গ্লাস খালি হয়ে যায় কিন্তু ওষুধ গলাতেই আটকে ছিল। সেইসময় বাড়িতে কেউ ছিল না। শুধু একটি পোষ্য কুকুর ও পাঁচটি বিড়াল ছিল। সেই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে খুব ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। মনে হচ্ছিলো এখনই মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়ব। তখন আমি আমার ব্যক্তিগত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করি কিন্তু তাঁর ফোন ব্যস্ত ছিল।’
শেষপর্যন্ত অভিনেত্রীর পুত্র জোহান এসে এই পরিস্থিতি থেকে অভিনেত্রীকে উদ্ধার করেন। এরপর অভিনেত্রীর ছেলে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করে। এরপর পরিস্থিতি একটু নিয়ন্ত্রণে আসে। তারপর গলার মধ্যে ওষুধটি গলে যায়। এই ভয়াবহ পরিস্থিতি উপলব্ধি করে তিনি সকলকে অনুরোধ করেন, ওষুধ খাওয়ার সময় যেন ধৈর্য্য ধরে ও সাবধানে খেতে হবে। নাহলে আমার মতো পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হবে।