Republic Day: দিল্লির কর্তব্য পথে বাংলার লক্ষ্মীর ভাণ্ডার

দেশ

নিউজ পোল ব্যুরো: আজ রবিবার ২৬ জানুয়ারি দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে ৭৬ তম প্রজাতন্ত্র দিবস (Republic Day)। এবার দিল্লিতে কর্তব্য পথের প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে বাংলার লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। এর পাশাপাশি টেরাকোটার ঐতিহ্যের সঙ্গে পুরুলিয়ার ছৌ নাচের অসাধারণ মেল বন্ধন সকলের মন জয় করে নেয়।

এদিন সাধারণতন্ত্র দিবসে দিল্লির কর্তব্যপথে বাংলার ট্যাবলো ছিল এককথায় অনবদ্য। বাংলার সংস্কৃতির নজরকাড়া পরিবেশনা সৃষ্টি করে। বাংলার ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি এবং লোকসংস্কৃতির নানান দিক তুলে ধরা হয়েছিল এই ট্যাবলোর মাধ্যমে। যা উপস্থিত দর্শকদের মন মুগ্ধ করে। এবারের প্রজাতন্ত্র দিবসের (Republic Day) মূল থিম ছিল ‘স্বর্ণিম ভারত-বিরাসত অর বিকাশ’।

Blood Pressure: রান্নাঘরের মশলা আপনার রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে!

বাংলার ট্যাবলোটি সাজানো হয়েছিল এক অনন্য নকশায়, যেখানে বাংলার টেরাকোটা মন্দির, ছৌ নাচ এবং লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের আধারেথ প্রতীকগুলো ফুটে উঠেছিল। ট্যাবলোর সামনে ছিল ছৌ মুকুটের আদলে গড়া, দুর্গা প্রতিমা যা ‘নারী শক্তির জাগরণ’ বোঝাতে সহায়ক ছিল। মঞ্চের সামনের দিকে রাখা ছিল মাতৃমূর্তি, যা নারীদের শক্তি ও ক্ষমতার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করছিল। এছাড়া লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের কলসও রাখা হয়েছিল। যা বাংলার নারী ক্ষমতায়নের উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছিল

ট্যাবলোর পেছনে ছিল বাঁকুড়ার পোড়া মাটির মন্দিরের একটি রেপ্লিকা, যা বাংলার ঐতিহ্যবাহী টেরাকোটা শিল্পকে প্রদর্শন করেছিল। এই শিল্পের মাধ্যমে রাজ্য সরকারের লক্ষ্য ছিল দেশবাসীকে বাংলার প্রাচীন ও সমৃদ্ধ শিল্প সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া। প্রদর্শনীটি সংগীতের মাধ্যমে আরও প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে, যেখানে বাউল গানের সুর এবং ছৌ নাচের রীতিমতো মোহিত করা বাদ্যযন্ত্র বাজছিল। বাংলার ঐতিহ্যবাহী সুর ও নৃত্য এই ট্যাবলোতে এক অনন্য মেলবন্ধন সৃষ্টি করেছিল।

উল্লেখ্য, এর আগে বেশ কয়েক বছর বাংলার ট্যাবলোর থিম নিয়ে কেন্দ্রের মোদী সরকারের অনমনীয় মনোভাবের কারণে তা সাধারণতন্ত্র দিবসের প্যারেডে স্থান পায়নি, যার ফলে রাজনৈতিক মহলে সমালোচনার সম্মুখীন হতে হয় কেন্দ্রীয় সরকারকে। রাজ্যের শাসক দলের প্রতিনিধিরা বাংলার বিরুদ্ধে বঞ্চনার প্রসঙ্গ তুলে আনেন। তবে এবারে সে সব কিছুই হয়নি। কেন্দ্রীয় সরকার বাংলা ট্যাবলোর এই প্রদর্শনীর প্রশংসা করেছে, যা বাংলার সংস্কৃতির প্রতি তাদের সম্মান প্রদর্শন করেছে। বিশেষত, বাংলার নারীদের ক্ষমতায়নের বিষয়টি ট্যাবলোর মাধ্যমে কার্যকরীভাবে তুলে ধরা হয়েছে, যা দর্শকদের কাছে একটি শক্তিশালী বার্তা হিসেবে কাজ করেছে।

এদিন দিল্লির কর্তব্য পথে ৭৬ তম প্রজাতন্ত্র দিবসের প্যারেডের অভিবাদন গ্রহণ করেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। বিশেষ অতিথি ছিলেন ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রপতি।

এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, উপরাষ্ট্রপতি জগদীশ ধনকার, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সহ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সদস্য, ভারতীয় সেনাবাহিনীর শীর্ষ পদাধিকারী অফিসাররা সহ সমাজের বহু বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।