নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের থ্রেট কালচারে অভিযুক্ত ৭ পড়ুয়াকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর এই অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশের ফলে আপাতত অভিযুক্তরা ক্লাস করতে পারবেন এবং পরীক্ষাও দিতে পারবেন।
উল্লেখ্য, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে থ্রেট কালচারের অভিযোগে অভিযুক্তদের সাসপেন্ড করেছিল কলেজ কর্তৃপক্ষ। সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন অভিযুক্তরা। সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে ক্লাস ও পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ দিতে নির্দেশ দেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। তবে ওই অভিযুক্ত ছাত্ররা ক্লাস ও পরীক্ষা দেওয়ার মাঝে কলেজে থাকতে পারবে না। এর পাশাপাশি কলেজের অন্যান্য কাজেও যুক্ত থাকতে পারবেন না বলে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।
আবেদনকারীর তরফে আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় আদালতে জানান, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের ডাক্তারি পড়ুয়া অরিত্র রায় সহ বাকিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁরা জুনিয়রদের র্যাগিং ও থ্রেট করেন। তবে কোন প্রমাণ ছাড়াই কলেজ তাঁদের সাসপেন্ড করে দেয়। কলেজের ক্ষেত্রে র্যাগিং বন্ধ করার জন্য অ্যান্টি র্যাগিং কমিটি গঠন করার কথা। কিন্তু এখানে কিছুই নেই! বিশ্ববিদ্যালয়ের নজরদারির মধ্যে এই কমিটি তৈরি হয় ও রক্ষণাবেক্ষণ হয়। এখানে কিছুই নেই। এই ধরনের কমিটি গঠন ও রক্ষণাবেক্ষণ হয় ন্যাশনাল কমিটির হাতেও। তাঁদের ভূমিকাও উদাসীন! কলেজ যদি অ্যান্টি র্যাগিং কমিটি গঠন করে তাহলে তার কার্যবিধি কোথায়? পরীক্ষা হবে কাল থেকে। সেখানে যেতে পারবেন না আবেদনকারীরা। সাসপেনশন তোলা হয়নি। ভবিষ্যতের ডাক্তারদের জীবন থেকে একটা বছর চলে গেলে সমাজের ক্ষতি। আবেদনকারীরা তাই ভয় পাচ্ছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হচ্ছে। কিন্তু কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই তাঁদের সাসপেন্ড করে দেওয়া হল!
কলেজের আইনজীবী সুমন সেনগুপ্ত বলেন, আরজি করের ঘটনার পর থেকেই এই ধরনের অভিযোগ উঠছে। কর্তৃপক্ষ একটা কলেজ চালান। তবে সেখানে রোগীরাও থাকেন। তাই সকলের কথা ভাবতে হয়। তাই নিয়ম মেনেই জেনারেল মিটিং করে ওই ছাত্রদেরকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ছে। ছয় মাসের জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।