Sagardwip: মুড়িগঙ্গার ওপর সেতুর জন্য কেনা হবে জমি

কলকাতা জেলা রাজ্য

নিজস্ব প্রতিনিধি,কলকাতাঃ- রাজ্য সরকার মুড়িগঙ্গা (Sagardwip) নদীতে প্রস্তাবিত গঙ্গাসাগর সেতু নির্মাণের জন্য কোনও জমি অধিগ্রহণ করবেনা। এজন্য প্রয়োজনীয় ১৩ একর জমি সরাসরি কিনে নেওয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রাজ্য মন্ত্রীসভা ইতিমধ্যেই পূর্ত দফতরকে বাজার দরে জমি কেনার ছাড়পত্র দিয়েছে বলে নবান্ন সূত্রে খবর। সেতু নির্মাণের জন্য কাকদ্বীপে প্রায় আট একর এবং কচুবেড়িয়ায় পাঁচ একর জমি চিহ্নিত করা হয়েছে।

https://thenewspole.com/2025/03/26/sajna-danta-recipes-bengali/

প্রসঙ্গত, সাগরদ্বীপের (Sagardwip) সঙ্গে মূল ভূখণ্ডের সড়কপথে যোগাযোগ গড়ে তুলতে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দীর্ঘ, চার লেনের সেতু তৈরীর কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেতু নির্মানে আনুমানিক খরচ ১ হাজার ৪৩৮ কোটি টাকা। সেতু নির্মানের বিস্তারিত প্রকল্প রিপোর্ট তৈরর কাজও শেষ হয়েছে বলে নবান্ন সূত্রে খবর।

https://www.facebook.com/share/p/14ntxvWaWn/

কেন্দ্রীয় সরকারের আশ্বাস থাকলেও সেতু নির্মাণ হয়নি। এবার রাজ্যই তা বানিয়ে দেবে। এর জন্য খরচ হবে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা। প্রকাশ করা হয়েছে সেতুর নকশা। পাশাপাশি সেতুর সার্ভে, টেন্ডার, ডিপিআর সংক্রান্ত কাজও হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। তাই আর কেন্দ্রের অপেক্ষায় বসে থাকা নয়। রাজ্য সরকার নিজের উদ্যোগেই গঙ্গাসাগরের সেতু বানাবে। তা আগেই জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সে-কাজে এগোল রাজ্য। এই সেতু হবে কেবল-নির্ভর। প্রস্তাবিত এই সেতু খানিকটা দ্বিতীয় হুগলি সেতু বা নিবেদিতা সেতুর মতো দেখতে হচ্ছে। একদিকে কাকদ্বীপ। মুড়িগঙ্গার অপর প্রান্তে কচুবেড়িয়া। 

https://youtu.be/P29UjdiL1dw?si=X9tLLJp6AZAGoS8I

মুড়িগঙ্গার উপরই চার কিলোমিটার দীর্ঘ সেতুটি নির্মাণ হবে। এ কাজে রাজ্যের কোষাগার থেকে খরচ হবে প্রায় এক হাজার ৪৩৯ কোটি টাকা। প্রসঙ্গত এই সেতু তৈরির কথা ছিল কেন্দ্রীয় সরকারের। প্রায় ছ’বছর আগে প্রস্তাবিত তাজপুর বন্দরের অংশীদার করার কথা বলেছিল রাজ্য। যার পরিবর্তে কেন্দ্রকে এই সেতু তৈরি করে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই প্রস্তাবে সারা দিয়েও শেষপর্যন্ত কোনও ইতিবাচক পদক্ষেপ কেন্দ্র করেনি বলে অভিযোগ। ফলে সাগরদ্বীপের সাধারণ মানুষের পাশাপাশি প্রতি বছর গঙ্গাসাগর মেলায় আসা কোটি কোটি পুণ্যার্থীর কথা ভেবে রাজ্যের কোষাগার থেকে টাকা খরচ করে এই সেতু তৈরির সিদ্ধান্ত নেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।