শুনতে পেল এনআরএস – এ এসে

জেলা রাজ্য

নিজস্ব প্রতিনিধি, পূর্ব মেদিনীপুর: এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে প্রথমবারের মতো ককলিয়ার ইমপ্ল্যান্টেশন সফলভাবে সম্পন্ন হয়। পূর্ব মেদিনীপুরের সাত বছরের এক শিশু প্রথমবারের মতো এই অত্যাধুনিক চিকিৎসার মাধ্যমে নতুন করে শুনতে পাচ্ছে এবং ধীরে ধীরে কথা বলতেও শিখছে।

গত ডিসেম্বর মাসে এই অস্ত্রোপচার করা হয়, যেখানে শিশুটির কানে ককলিয়ার ইমপ্ল্যান্ট স্থাপন করা হয়। শুক্রবার এনআরএস হাসপাতালের অধ্যক্ষ ডাঃ পীতবরণ চক্রবর্তী জানান, “এই হাসপাতালে প্রথমবার ককলিয়ার ইমপ্ল্যান্ট করা হল। অস্ত্রোপচারের পর ওই শিশু এখন স্বাভাবিকভাবে শুনতে পাচ্ছে এবং ধীরে ধীরে শব্দ উচ্চারণ করতে পারছে। শ্রবণক্ষমতা ফিরিয়ে আনার আধুনিক চিকিৎসা এনআরএস হাসপাতালের ইএনটি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডাঃ সুমন্ত কুমার দত্ত ব্যাখ্যা করেন, “জন্মগতভাবে যেসব শিশু শ্রবণক্ষমতা হারিয়ে ফেলে, তাঁরা সাধারণত কথাও বলতেও পারে না। যাদের শ্রবণশক্তি আংশিক দুর্বল, তাদের ক্ষেত্রে হিয়ারিং এইড ব্যবহারের মাধ্যমে সাহায্য করা যায়। তবে যারা সম্পূর্ণরূপে শুনতে পায় না, তাঁদের জন্য ককলিয়ার ইমপ্ল্যান্টেশন করানো হয়। ওই শিশুর ক্ষেত্রেও তাই করা হয়েছে।

এই চিকিৎসা পদ্ধতিতে কানের ভিতরের সেই অংশে অস্ত্রোপচার করে একটি ইলেকট্রনিক যন্ত্র স্থাপন করা হয়, যা শব্দকে বৈদ্যুতিক সংকেতে পরিণত করে শ্রবণ স্নায়ুর মাধ্যমে মস্তিষ্কে পাঠায়। যন্ত্রটির বাইরের অংশটি থাকে কানের উপর, মাথার সঙ্গে সংযুক্ত এবং অভ্যন্তরীণ অংশটি থাকে কানের ভিতরে। ওই শিশুর অস্ত্রোপচার সফল হওয়ার পর এখন সে শুনতে পাওয়ার পাশাপাশি ধীরে ধীরে কথা বলার অভ্যাসও গড়ে তুলছে। এই চিকিৎসার মাধ্যমে বহু শিশুর নতুন করে কথা বলার ও স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের এই সাফল্য ভবিষ্যতে আরও অনেক শিশুর জন্য আশার আলো হয়ে উঠবে।