সরকারের বিরুদ্ধে সরব রেশন ডিলাররা

দেশ রাজ্য

নিউজ পোল ব্যুরো :- বাজেটে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে দেশজুড়ে আন্দোলনের পথে নামতে চলেছেন রেশন ডিলাররা। দীর্ঘদিন ধরে নিজেদের দাবি-দাওয়া নিয়ে লড়াই চালিয়ে আসলেও এবার সরকারের বিরুদ্ধে বড়সড় পদক্ষেপ নিতে চলেছেন তাঁরা। সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রেশন ডিলারদের সমস্যাগুলি উপেক্ষা করা হচ্ছে, অথচ তাঁরা জনগণের খাদ্যসুরক্ষা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। এই ইস্যুতে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিতে বুধবার হায়দরাবাদে বসছে রেশন ডিলারদের জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক। সেখানে দেশব্যাপী আন্দোলনের রূপরেখা ঠিক করা হবে বলে সংগঠনের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, গত শনিবার ২০২৫-২০২৬ অর্থবর্ষের বাজেট থেকে কিছুই পাননি দেশের নিম্ন মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত ও রেশন ডিলাররাও। রেশন ডিলারদের মূল অভিযোগ, বর্তমান বাজেটে তাঁদের ন্যায্য দাবি উপেক্ষিত হয়েছে। তাঁরা দীর্ঘদিন ধরেই সরকারি কমিশন বৃদ্ধি, বেতন কাঠামোর উন্নতি, অতিরিক্ত খরচের ক্ষতিপূরণ, এবং কর্মসংস্থান সুরক্ষার মতো বিষয়গুলি নিয়ে সরব হয়েছেন। কিন্তু সরকারের তরফে কোন সদর্থক পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। ডিলারদের বক্তব্য, তাঁরা কম মুনাফায় কঠোর পরিশ্রম করেও সাধারণ মানুষের কাছে সাশ্রয়ী মূল্যে খাদ্য পৌঁছে দিচ্ছেন। কিন্তু তাঁদের নিজেদের জীবনযাত্রার মান নিয়ে সরকার উদাসীন। অনেক রাজ্যে রেশন ডিলারদের আর্থিক পরিস্থিতি শোচনীয় হয়ে উঠছে, এমনকি কিছু জায়গায় তাঁরা বেতনহীন অবস্থায় কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন।

সংগঠনের এক শীর্ষস্থানীয় নেতা জানিয়েছেন, ‘আমাদের দাবি নিয়ে একাধিকবার সরকারের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে, কিন্তু কোন সুনির্দিষ্ট সমাধান আসেনি। এবার আমাদের চুপ করে বসে থাকার সময় নেই। যদি সরকার আমাদের কথা না শোনে, তাহলে দেশব্যাপী লাগাতার আন্দোলনের দিকে যেতে হবে।’ হায়দরাবাদের বৈঠকে আন্দোলনের রূপরেখা চূড়ান্ত করা হবে। সম্ভাব্য পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে ধর্মঘট, অবস্থান বিক্ষোভ, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের দপ্তরে স্মারকলিপি প্রদান, এবং প্রয়োজনে সারা দেশে রেশন পরিষেবা সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা।

এখনও পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে এ নিয়ে কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে বিশেষজ্ঞদের ধারণা, আন্দোলন যদি বড়ো আকার নেয়, তাহলে সরকারের ওপর চাপ বাড়বে এবং তাঁরা রেশন ডিলারদের দাবিগুলি পুনর্বিবেচনা করতে বাধ্য হতে পারে। আগামী দিনে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, তার ওপর নির্ভর করবে রেশন ডিলারদের ভবিষ্যৎ কর্মসূচি। কিন্তু পরিষ্কার, এবার তাঁরা অধিকার আদায়ের লড়াইয়ে সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপাতে প্রস্তুত।