পোড়া ক্ষত সারাবে তেলাপিয়া

স্বাস্থ্য

নিউজ পোল ব্যুরোঃ বারনল, সিল্ভাস এক্স, তুথপেস্ট কিংবা আলুর রস নয়! এবার থেকে পুড়ে গেলেই কিনে আনুন তেলাপিয়া। তেলাপিয়া নামের বিশেষ প্রকার এই মাছেই রয়েছে বিশেষ কিছু গুন, যা নিমেশেই সারিয়ে তুলতে পারে যে কোনও ক্ষত স্থান। ক্ষতস্থান নিরাময়ে তেলাপিয়ার উপকারিতা প্রমান করেছেন বিজ্ঞানীরা।

বর্তমানে চিকিৎসা বিজ্ঞানে ক্ষতস্থান নিরাময়ের জন্য জোরকদমে চলছে তেলাপিয়ার চামড়ার ব্যাবহার। শুধুমাত্র খাদ্যপণ্য হিসেবে নয়, অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ওষুধ হিসেবেও এবার নিজের জায়গা বানাচ্ছে তেলাপিয়া। পোড়া ক্ষতস্থানের চিকিৎসায় এক যুগান্তকারীর বিকল্প হতে চলেছে তেলাপিয়া বলছেন চিকিৎসকরা। আফ্রিকান প্রজাতির তেলাপিয়া মাছের চামড়া দিয়ে সহজেই সারিয়ে তোলা যাবে যে কোনও ধরনের পোড়া জায়গা। তেলাপিয়ার এই বিশেষ বিস্ময়কর ঔষধি গুণ আবিষ্কার করে চিকিৎসা বিজ্ঞানে তাক লাগিয়েছে ব্রাজিল। চিকিৎসা বিজ্ঞানে এ যেনো এক নতুন দুয়ারে উন্মোচন। এই পদ্ধতির আবিষ্কর্তা ব্রাজিলিয়ান চিকিৎসক ম্যাসিয়েল ও মার্সেলো বোরগেস।

ব্রাজিলের ফোর্টালেজ অঞ্চলে অগ্নিদগ্ধ হওয়া জায়গায় তেলাপিয়ার চামড়া দিয়ে প্রথম চিকিৎসা করার সিদ্ধান্ত নেন, অদ্ভুতভাবে সফলতা পাওয়া যায় প্রথম পরীক্ষাতেই। এই প্রকার চিকিৎসা পদ্ধতিতে বাড়তি কোনও ওষুধের প্রয়োজন হয়না। শুধুমাত্র পোড়া স্থানে ব্যান্ডেজের সাথে তেলাপিয়ার চামড়া লাগিয়েই চলবে রোগীর চিকিৎসা। এই পদ্ধতিতে মাছের চামড়াকে ক্ষত স্থানে আটকে দেওয়া হয় ১০ দিনের জন্য। ১০ দিন পর খোলা হয় ব্যান্ডেজ।

উল্লেখ্য, ১০ দিনের পর রোগী একটুও কষ্ট পান না চামড়া তোলার সময়। ১০ দিন পর তেলাপিয়ার চামড়া তোলার সময় তা শুকিয়ে যাওয়ার কষ্ট পেতে হয়না রোগীকে। এছাড়াও ব্রাজিলে বর্তমানে পোড়া স্থান সারাতে যে মলম ব্যবহৃত হয় তার পরিবর্তে এই মাছের চামড়া ব্যবহার করা হয়েছে এরইমধ্যে। পরবর্তীতে এই চিকিৎসা পদ্ধতি ব্যবহার করলে খরচ ৭৫ শতাংশ কমবে বলে দাবি জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।