অনলাইন পেমেন্ট ধরিয়ে দিল অপরাধী

জেলা রাজ্য

নিউজ পোল ব্যুরো: কেঁচো খুঁড়তে কেউটে! বারুইপুরের খালে এক অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার। তদন্তে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। পুলিশের অনুমান, এটি পরিকল্পিত খুন। সূত্রের খবর, মৃত ব্যক্তি জুতো ব্যবসায়ী সোনু রাম। কসবা ইন্ডাস্ট্রিয়াল এস্টেটে একটি জুতোর দোকানে কাজ করতেন।

৩১ জানুয়ারি রাতে দোকান বন্ধ করে অনুপ মন্ডলের সঙ্গে বেরিয়ে যান সোনু। রাট ৮ টা নাগাদ স্ত্রীর সঙ্গে কথাও বলেন। কিন্তু পর দিন সকাল থেকেই নিখোঁজ তিনি, তাঁর ফোনও বন্ধ ছিল। রাতেই নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। তদন্ত শুরু করেন পুলিশ।তারপরেই ৫ ফেব্রুয়ারি বারুইপুর খালে উদ্ধার হয় একটি পচা গলা দেহ। তদন্তে সোনু রামের দেহ শনাক্ত করা হয়।

পুলিশ সূত্রে খবর, খুনের দিন রাতে সোনুর ফোন থেকে ১ লক্ষ টাকা পাঠানো হয়েছিল অমিত নস্করের অ্যাকাউন্টে। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে অমিত জানান, কিউআরকোড স্ক্যান করে সেই টাকা পাঠিয়েছিলেন অনুপ মন্ডল ও দ্বীপ হালদার। এরপর অনুপকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

খুনের কথা স্বীকার করে অনুপ। তদন্তে নেমে গ্রেফতার করা হয় আরও ৪ জনকে। ধৃতরা হল অনুপ মন্ডল,দীপ হালদার,খোকন বৈদ্য এবং প্রদীপ নয়াবান। আরও একজন পলাতক। সূত্রের খবর, সোনুকে খুনের পর দেহটি খালে ফেলার জন্য অভিযুক্তরা একটি গাড়ি ব্যবহার করেছিলেন, যার চালক ছিলেন প্রদীপ। পুলিশ এখনও পলাতক রঞ্জনের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে।