চাকরিপ্রার্থীদের ধর্নার অনুমতি হাইকোর্টের

breakingnews আইন রাজ্য

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতাঃ সম্প্রতি চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলনের অনুমতি নেই এমনই কারণ দেখিয়েই তুলকালাম হয় কলকাতার বেশ কিছু এলাকা। এক কথায় চাকরিপ্রার্থী বনাম পুলিশের তুমুল বিবাদে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকাগুলি। এবার সেই চাকরিপ্রার্থীদের ধর্নার অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট। ২০২২ টেট চাকরিপ্রার্থীদের বিকাশ ভবনের সামনে ধর্না কর্মসূচীর অনুমোদন কলকাতা হাইকোর্টের। তবে জায়গা ঠিক করে দেওয়া হল এবারে। বিকাশ ভবনের সামনে নয় বদলে সেন্ট্রাল পার্ক মেট্রো স্টেশনের কাছে ডিডি ১০ নার্সিংহোমের বিপরীতে ১১ ফেব্রুয়ারি বেলা বারোটা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত ধর্ণার অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট।

এছাড়াও কলকাতা হাইকোর্টের তরফ থেকে দেওয়া হয় আরও বেশ কিছু শর্ত। গোটা কর্মসূচীতে ব্যবহার করা যাবে না মাইক্রোফোন। শুধুমাত্র হ্যান্ড মাইক্রোফোন ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে হাইকোর্টের তরফে। আন্দোলনরত অবস্থায় কোনওরকম কুরুচিকর মন্তব্য করা যাবে না। আন্দোলনের সময় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশকাল কোনও সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করা যাবে না। কোনও সরকারি আধিকারিক বা কর্মীকে উত্তপ্ত করা যাবে না। এলাকাবাসী যাতে কোনও রকম অসুবিধায় না পড়ে সেদিক নজর রাখতে হবে। ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ এর সাহায্য করতে হবে। এককথায় শান্তিপূর্ণ করতে হবে এই ধর্ণা। এদিন আরও জানানো হয় সমগ্র কর্মসূচীতেই থাকবে পুলিশি নিরাপত্তা। নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে বিধান নগর পুলিশ কমিশনারেট।

প্রসঙ্গত, আগেই বিক্ষোভকারীর সংখ্যা ঠিক কত থাকবে বিষয়টি পরিষ্কার করে জানানো হয়। বলা হয় ২০০ জন বিক্ষোভ করবেন। বিধান নগর পুলিশ কমিশনারেটের কাছে অনুমতি চাইলেও অনুমতি না পাওয়ায় উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন চাকরিপ্রার্থীরা। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে শুনানি হয় এই মামলার। ওই এলাকার সামনে বিদ্যালয় রয়েছে ও বিদ্যালয়ে পরীক্ষা চলার কারণে অনুমতি দেওয়া হয়নি সেই সময়। দুই পক্ষের বক্তব্য শোনার পর বিচারপতি সেন্ট্রাল পার্ক মেট্রো কার্শেড-এর সামনে ডিডি ১০ নার্সিংহোমের বিপরীতে বিক্ষোভ করার অনুমতি দিয়েছেন। সেইমতোই ১১ ফেব্রুয়ারি বেলা ১২ টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত ধর্ণার অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট।