Rashtrapati Bhavan: রাইসিনা হিলসে বসলো বিয়ের আসর, তাও প্রথমবার , জানুন কেন ?

দেশ

নিউজ পোল ব্যুরো : ভারতের ইতিহাসে এবার এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হতে চলেছে। রাইসিনা হিলস(raisina hill) যা দেশের গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ক্ষেত্র। যেখানে শুধুমাত্র সরকারি কাজ নয়, পাশাপাশি হয়ে থাকে নানা ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সেখানেই এবার চিত্র বদল। আগামী ১২ জানুয়ারী বসতে চলেছে এক অনন্য বিয়ের আসর(wedding)। এই প্রথমবার রাইসিনা হিলসে(Rashtrapati Bhavan) কোন বিয়ের আয়োজন করা হচ্ছে। চমকপ্রদ বিষয় হল, দেশের রাষ্ট্রপতি স্বয়ং এই শুভ পরিণয়ের সাক্ষী থাকবেন ও বিয়ের সকল রীতি পালনে উপস্থিত থাকবেন। যাদের বিয়েকে কেন্দ্র করে জোর চর্চা চলছেন তারা হলেন – পুনম পান্ডে (CISF-এর এসিস্টেন্ট কম্যান্ড), যিনি বর্তমানে রাষ্ট্রপতি ভবনে পিএসও তথা পার্সোনাল সিকিউরিটি অফিসার পদে রয়েছেন। অন্যদিকে পাত্র হলেন অবনীশ কুমার যিনি বর্তমানে জম্মু-কাশ্মীরে CRPF-এর এসিস্টেন্ট কমান্ডার পদে রয়েছেন।

রাষ্ট্রপতি ভবনের মতো একটি ঐতিহাসিক স্থানে বিয়ের আয়োজন নিঃসন্দেহে এক বিরল ঘটনা। সাধারণত, রাষ্ট্রপতি ভবনে রাষ্ট্রীয় নৈশভোজ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, এবং বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধানদের সম্মানার্থে ভোজসভা আয়োজিত হয়। তবে এবার এই ঐতিহ্যবাহী প্রাসাদ সাক্ষী হতে চলেছে এক পবিত্র মিলনের, যা ভারতীয় ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির এক নতুন মাত্রা যোগ করবে। বিশেষ সূত্রে খবর, এই বিয়েতে অতিথিদের তালিকাও হবে বেশ সীমিত। কেবলমাত্র বিশেষ আমন্ত্রিত ব্যক্তিরাই এই শুভ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারবেন। আমন্ত্রিতদের মধ্যে থাকবেন বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, বিচারপতি, সামরিক কর্মকর্তারা, এবং রাষ্ট্রপতির ঘনিষ্ঠ পরিজনরা।


এই ঐতিহাসিক অনুষ্ঠানের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিক হল, দেশের রাষ্ট্রপতি নিজে এই বিয়েতে উপস্থিত থাকবেন এবং শুভ পরিণয়ের বিভিন্ন রীতি সম্পন্ন করতে প্রত্যক্ষ ভূমিকা পালন করবেন। এমন ঘটনা ভারতের ইতিহাসে আগে কখনও ঘটেনি। দেশের রাষ্ট্রপ্রধান সাধারণত রাষ্ট্রীয় কাজের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকেন, কিন্তু এবার তিনি নিজে দাঁড়িয়ে থেকে নবদম্পতির আশীর্বাদ করবেন। রাষ্ট্রপতি ভবনের একজন শীর্ষস্থানীয় আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘এটি এক ব্যতিক্রমী আয়োজন, যা ভারতের ইতিহাসে প্রথমবার ঘটছে। রাষ্ট্রপতি নিজে উপস্থিত থেকে নবদম্পতির জন্য আশীর্বাদ করবেন এবং এই শুভ অনুষ্ঠানে বিশেষ ভূমিকা রাখবেন।’ রাষ্ট্রপতি ভবন, যা ভারতের স্থাপত্যশিল্পের এক অসাধারণ নিদর্শন, এবার এক শুভ অনুষ্ঠানের জন্য সেজে উঠবে। জানা গিয়েছে, এই বিয়ের আয়োজন একদম রাজকীয় মাত্রার হবে, তবে তা সাদামাটা কিন্তু মার্জিত রূপেই করা হবে। রাষ্ট্রপতি ভবনের একটি নির্দিষ্ট অংশ বিয়ের জন্য সাজানো হবে। অনুষ্ঠানে প্রচুর ফুলের ব্যবহার হবে এবং ঐতিহ্যবাহী ভারতীয় সাজসজ্জার ছোঁয়া থাকবে।

সূত্রের খবর, রাষ্ট্রপতি ভবনের(Rashtrapati Bhavan) নিজস্ব শেফরা এই বিয়ের খাবার তৈরি করবেন, যা ভারতীয় ঐতিহ্যবাহী পদ দিয়ে সাজানো হবে। বিয়েতে ভারতীয় সংস্কৃতির নানা উপাদান সংযোজিত হবে, এবং এটি সমস্ত ধর্মীয় ও সামাজিক আচার মেনেই সম্পন্ন হবে। রাষ্ট্রপতি ভবন ভারতীয় গণতন্ত্রের অন্যতম প্রতীক, যেখানে দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, এবং রাষ্ট্রীয় সম্মাননা প্রদান করা হয়। সেই ভবনে একটি বিয়ের আয়োজন নিঃসন্দেহে ঐতিহাসিক তাৎপর্য বহন করে। এটি শুধুমাত্র একটি বিয়ে নয়, এটি রাষ্ট্রপতি ভবনের এক নতুন ইতিহাস রচনা করছে, যেখানে একটি ব্যক্তিগত আনন্দঘন মুহূর্তও জায়গা করে নিচ্ছে। এর ফলে রাষ্ট্রপতি ভবন শুধুমাত্র একটি রাজনৈতিক কেন্দ্র নয়, বরং এটি ভারতীয় সংস্কৃতির আরও গভীরভাবে জড়িয়ে থাকার প্রতীক হয়ে উঠবে।

এই খবর সামনে আসার পর থেকেই সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ তৈরি হয়েছে। সামাজিক মাধ্যমে অনেকেই এই সিদ্ধান্তকে অভিনন্দন জানাচ্ছেন। অনেকের মতে, এটি রাষ্ট্রপতি ভবনকে আরও মানুষের কাছে ঘনিষ্ঠ করে তুলবে, এবং এক নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে। একজন টুইটার ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘রাষ্ট্রপতি ভবনে বিয়ের আয়োজন! সত্যিই ভারতীয় ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির এক নতুন সংযোজন। আমরা এটির ছবি ও বিস্তারিত জানতে অপেক্ষায় আছি।’ ভারতের ইতিহাসে এই প্রথমবার রাষ্ট্রপতি ভবনে বিয়ের আয়োজন নিঃসন্দেহে এক যুগান্তকারী ঘটনা। এটি কেবলমাত্র একটি ব্যক্তিগত অনুষ্ঠান নয়, বরং এটি ভারতীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের এক অনন্য প্রতিফলন। রাষ্ট্রপতি ভবনের মতো একটি স্থানে এমন এক শুভ অনুষ্ঠানের আয়োজন ভারতের বহুমুখী সংস্কৃতির প্রতীক হয়ে থাকবে। এই রাজকীয় ও ঐতিহাসিক বিয়ের সাক্ষী হতে সবাই অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। ভবিষ্যতে এই ধরণের আয়োজন আরও হবে কি না, তা সময়ই বলবে, তবে আপাতত, এই বিয়ের খবরই সকলের মুখে মুখে ঘুরছে।