নিউজ পোল ব্যুরোঃ শেখ হাসিনার সরকারের পর বাংলাশের(Bangladesh) দায়িত্ব নিয়েছেন মুহাম্মদ ইউনূসের (Muhammad Yunus) নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার (Bangladesh Interim Government )। ক্ষমতা হাতে থাকলেও দেশ চালনার ক্ষেত্রে একাধিক বাধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদকে। সেই সঙ্গেই ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপের জেরে ক্রমেই বাংলাদের চাপ আরও বাড়ছে। ভারতের শিল্পপতি গৌতম আদানির গোষ্ঠী বাংলাদেশকে বিদ্যুৎ শুল্কে ছাড় দিতে অসম্মত হওয়াতে নতুন করে মাথাব্যথা বেড়েছে ইউনূস সরকারের। বিদ্যুৎ বাঁচাতে এবার বাতানুকূল যন্ত্র ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ আনছে ইউনূস সরকার।
বিদ্যুতের বকেয়া বিল নিয়ে এমনতেই চাপে ছিল বাংলাদেশ। সেই চাপ এবার আরও বারল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বিদ্যুৎ-এর বিলে রাশ টানতে তাই এবার মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার নির্দেশ দিয়েছে, গ্রীষ্মের মরসুমে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের (AC) তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার ওপরে রাখতে হবে। গৌতম আদানির গোষ্ঠী বাংলাদেশকে বিদ্যুৎ শুল্কে ছাড় দিতে অসম্মত হওয়ার পরেই এই নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। এটা যে শুধু কথার কথা নয় তাও সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। নির্দেশ উপেক্ষা করলে বিদ্যুতের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা এবং প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে বলে জানিয়ে দিয়েছেন, বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। ফাওজুল বলেন, ‘‘এর ফলে দু’থেকে তিন হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সাশ্রয় করা যাবে।’’ বিদ্যুৎ বিভাগের বিশেষ দল নজরদারি করবে বলেও সতর্ক করেছেন তিনি।
উল্লেখ্য, হাসিনার সরকারের আমলে হয়েছিল চুক্তি। আদানি গোষ্ঠী ২০১৭ সালের চুক্তি অনুযায়ী ঝাড়খণ্ডের গোড্ডায় তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশে(Bangladesh) বিদ্যুৎ রফতানি করে । দু’টি ইউনিট রয়েছে সেখানে। এক একটি ইউনিটের ৮০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা রয়েছে। সেই বিদ্যুতের বিলের অনেকেটাই অনেক বকেয়া হয়ে যায়। তারপর ইউনূস সরকার চিহিদার ভিত্তিতে অক্টোবরে আদানি গোষ্ঠীর থেকে বিদ্যুৎ কেনা অর্ধেকে নামিয়ে এনেছিল। তবে ফেব্রুয়ারিতে অন্তর্বর্তী সরকার বার্তা পাঠায় বকেয়া বিলে কিছু ছাড় দিলে আদানি গোষ্ঠীর থেকে আবার ১৬০০ ইউনিট বিদ্যুৎ কেনা হবে। কিন্তু সেই প্রস্তাব খারিজ করে দেয় আদানিরা। তাতেই বিপাকে পড়েছে বাংলাদেশ সরকার।