নিউজ পোল ব্যুরো: Banking News : ২০২৫ সালের কেন্দ্রীয় বাজেটে (Central Budget) সাধারণ মানুষের জন্য একাধিক গুরুত্বপূর্ণ (Important) ঘোষণা করা হয়েছিল। এর মধ্যে একটি ছিল,করমুক্ত আয়ের (Tax-free income) সীমা ১২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত,যা অনেকের জন্য আর্থিক (Financial) সুবিধা নিয়ে আসবে। এবার কেন্দ্রীয় সরকার ব্যাঙ্ক (Bank) আমানতকারীদের (Depositor) জন্য আরও একটি বড় সিদ্ধান্ত (Important decision) নিতে চলেছে। তবে সরকারের পরিকল্পনা রয়েছে ব্যাঙ্কে (Bank) টাকা রাখার ওপর বীমা কভার বাড়ানোর। Banking News
বীমা (Bima) কভার বাড়ানোর প্রস্তাবনা
বর্তমানে যদি কোন ব্যাঙ্ক (Bank) দেউলিয়া হয়,তাহলে আমানতকারীদের সর্বোচ্চ ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বীমার আওতায় ফেরত পান,যদিও তাদের অ্যাকাউন্ট-এর চেয়ে বেশি টাকা জমা থাকে। কিন্তু এই সীমা বাড়ানোর বিষয়ে সরকার এখন কাজ করছে এবং অনুমোদন পেলেই এটি কার্যকর হবে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে,এই প্রস্তাবটি চূড়ান্ত হলে সরকারি বিজ্ঞপ্তি (Government Notice) জারি করা হবে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক পরিষেবা সচিব এম নাগারাজু জানিয়েছেন, সরকার (Government) এ বিষয়ে যথেষ্ট মনোযোগী এবং খুব শীঘ্রই আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হবে।
বর্তমানে ডিপোজিট (Deposit) ইন্সুরেন্স অ্যান্ড ক্রেডিট গ্যারান্টি কর্পোরেশন আইন অনুযায়ী, একটি ব্যাঙ্ক (Bank) দেউলিয়া হলে আমানতকারীরা সর্বোচ্চ ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ফেরত পান। ২০২০ সালে পিএমসি ব্যাঙ্ক (PMC Bank) কেলেঙ্কারির পর এই সীমা ১ লক্ষ টাকা বাড়িয়ে ৫ লক্ষ করা হয়েছিল। তবে এই নতুন সীমা কত হবে,তা এখনো সরকার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়নি।
সম্প্রতি নিউ ইন্ডিয়া কো অপারেটিভ ব্যাঙ্কের আর্থিক কেলেঙ্কারি প্রকাশ্যে এসেছে এবং এই ব্যাঙ্কটি (Bank) বর্তমানে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের (Reserve Bank) তত্ত্বাবধানে রয়েছে। এই ঘটনার পর,সরকার আমানতকারীদের সুরক্ষায় আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার চিন্তা করছে।
অর্থসচিব (Finance Secretary) তুহিন কান্ত পান্ডে সম্প্রতি বলেছেন, শুধুমাত্র একটি ব্যাঙ্কের (Bank) সমস্যার (Problem) কারণে পুরো খাতের অবস্থা বিচার করা উচিত নয়। তিনি জানিয়েছেন,দেশের সমবায় ব্যাঙ্ক ব্যবস্থা যথাযথভাবে নিয়ন্ত্রিত এবং সরকারের তদারকিতেই রয়েছে।
এদিকে সরকারের (Government) এই পদক্ষেপ আমানতকারীদের মধ্যে এক ধরণের শান্তি এনে দিয়েছে,যারা ব্যাঙ্কের (Bank) দেউলিয়া হওয়ার কারণে তাদের টাকা হারানোর আশঙ্কা করেছিলেন। এই পদক্ষেপটি দেশের ব্যাঙ্কিং খাতের প্রতি জনগণের আস্থা পুনরুদ্ধারে সাহায্য করবে বলে আশা করা হচ্ছে।