নিউজ পোল ব্যুরো: অ্যারিজোনার একটি বিমানবন্দরে দুটি বিমানের মুখোমুখি সংঘর্ষের(Plane) ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন দুই ব্যক্তি। বুধবার সকালে বিমানবন্দরের(Airport) ১২ নম্বর রানওয়েতে এই দুর্ঘটনাটি (Plane) ঘটে। আমেরিকার ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্টেশন সেফটি বোর্ড (NTSB) জানায়, একটি Cessna 172S বিমান অবতরণের সময় অপর একটি Lancair 360 MK II বিমানের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয় বিমানই টুকরো টুকরো হয়ে যায় এবং রানওয়েতে ছড়িয়ে পড়ে দাউদাউ আগুনের গোলা। প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী, Cessna 172S বিমানটি অবতরণ করার মুহূর্তে রানওয়েতে থাকা Lancair 360 MK II বিমানের ওপর গিয়ে পড়ে। সংঘর্ষে বিমানের অংশবিশেষ চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে(Plane Crash) পৌঁছান। তবে, নিহতদের পরিচয় এখনো নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি।
আরও পড়ুন: International Mother Language Day: ভাষার জন্য জীবন দেওয়ার এক অমর ইতিহাস
এক সপ্তাহ আগে আমেরিকান এয়ারলাইন্সের(American Airlines) একটি বিমানে একটি হেলিকপ্টার ধাক্কা দিলে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ৬৪ জন যাত্রী ও ৩ জন বিমানকর্মী প্রাণ হারান। একই সপ্তাহে ফিলাডেলফিয়ায়(Philadelphia) একটি ওষুধ কোম্পানির মালিকানাধীন বিমান ভেঙে পড়ে, যেখানে সাতজনের মৃত্যু হয়(Plane Crash)। গত সোমবার ডেল্টা এয়ারলাইন্সের একটি বিমান টেরেন্টোর রানওয়ে থেকে পিছলে যায়। রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে যাওয়ার পর শেষমেশ সেটি উপরের দিকে মুখ করে থেমে যায়। ওই বিমানে মোট ৮০ জন যাত্রী ছিলেন, তবে সৌভাগ্যক্রমে তাদের কেউ হতাহত হননি(Plane Crash)। এর আগে গত ৬ ফেব্রুয়ারি আলাস্কায় একটি ছোট বিমান দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। ওই বিমানে মোট ১০ জন যাত্রী ছিলেন। এছাড়া ১০ ফেব্রুয়ারি অ্যারিজোনায়(Arizona plane crash) আরও একটি ছোট বিমান ভেঙে পড়ে(Plane Crash), যা প্রাণহানির ঘটনা ঘটায়। ওই দুর্ঘটনায় একজন যাত্রীর মৃত্যু হয়েছিল।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে একাধিক বিমান দুর্ঘটনা ঘটায়(Plane Crash) বিমান নিরাপত্তা নিয়ে ব্যাপক উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ধরনের ধারাবাহিক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে আরও উন্নত প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ প্রয়োজন। ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্টেশন সেফটি বোর্ড(National Transportation Safety Board) ইতোমধ্যেই এসব দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে ব্যাপক তদন্ত শুরু করেছে।এই সব দুর্ঘটনা বিমানযাত্রীদের মধ্যে ভীতি ও উদ্বেগ বাড়িয়ে দিয়েছে। তবে, মার্কিন বিমান পরিবহন কর্তৃপক্ষ আশ্বাস দিয়েছে যে তারা বিমান নিরাপত্তা আরও কঠোর করতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।