Tangra Incident: নির্মম ট্রিপল মার্ডার: দে পরিবারের বিভীষিকা এখনও রহস্যে মোড়া!

অপরাধ কলকাতা শহর

নিউজ পোল ব্যুরো: ট্যাংরার দে পরিবারের বাড়িতে মঙ্গলবার সকালে ঠিক কী ঘটেছিল(Tangra Incident), তা এখনও ধোঁয়াশায় মোড়া। তিনটি নৃশংস হত্যাকাণ্ডের (Triple Murder) সমাধান খুঁজতে মরিয়া পুলিশ। প্রণয় দে, প্রসূন দে এবং প্রণয়ের পুত্র প্রতীপ দে এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। প্রণয় দে পুলিশের কাছে দাবি করেছেন, সোমবার রাতে পরিবারের সকলে মিলে ঘুমের ওষুধ (Sleeping Pills) মেশানো পায়েস খেয়েছিলেন। কিন্তু ময়নাতদন্ত (Post-mortem Report) বলছে, সুদেষ্ণা দে, রোমি দে এবং প্রসূনের কন্যা প্রিয়ম্বদা দে-র মৃত্যু মঙ্গলবার দুপুর থেকে রাতের মধ্যে হয়েছে। তাহলে প্রশ্ন উঠছে, পায়েস খাওয়ার পরে মঙ্গলবার সকাল থেকে তাদের মৃত্যুর আগের সময়টা কীভাবে কেটেছিল?

মৃতদের পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, সোমবার রাতেও সুদেষ্ণা ও রোমির সঙ্গে তাদের কথা হয়েছিল, কিন্তু তাঁরা কোনও অস্বাভাবিকতা বুঝতে পারেননি। অন্যদিকে, সিসিটিভি (CCTV Footage) বলছে, মঙ্গলবার রাত ১২টা ৫১ মিনিটে প্রণয়, প্রসূন এবং প্রদীপ বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে যান। রাত ৩টার পর অভিষিক্তা মোড়ের কাছে তাঁদের গাড়ি একটি স্তম্ভে ধাক্কা মারে(Tangra Incident)। পুলিশের হাতে থাকা ফুটেজ থেকে জানা গেছে, তাঁরা বেশ কয়েকটি রাস্তায় ঘুরে বেরিয়েছিলেন।ময়নাতদন্ত রিপোর্ট আরও বলছে, তিন মহিলার হাতের শিরা কেটে (Wrist Slit) খুন করা হয়েছে। তবে প্রশ্ন, এই হত্যার সিদ্ধান্ত কখন নেওয়া হল? কেন নেওয়া হল? কারা এই পরিকল্পনার সঙ্গে যুক্ত? এক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য, মঙ্গলবার দুপুর থেকে রাতের মধ্যে মৃত তিনজন খাবার খেয়েছিলেন, অর্থাৎ তাঁরা সকালে বেঁচে ছিলেন। তাহলে, তাঁরা কখন ঘুম থেকে উঠলেন? ঘুম ভাঙার পর কী ঘটেছিল? পুলিশ এখন এই প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজছে এবং জীবিত তিনজনের বয়ানে অসঙ্গতি খতিয়ে দেখছে। তদন্তের (Investigation) পরবর্তী ধাপেই(Tangra Incident) হয়তো উঠে আসবে তিনটি হত্যাকাণ্ডের চূড়ান্ত উত্তর।