নিউজ পোল ব্যুরো: মঙ্গলবার সাত সকালে কলকাতায় (Kolkata) ঘটে গিয়েছে ভয়ঙ্কর ঘটনা। আহিরীটোলা গঙ্গার ঘাটে উদ্ধার হয়েছে এক মহিলার কয়েক টুকরো দেহ। ট্রলিব্যাগে করে দেহ গঙ্গায় ভাসিয়ে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করা হয়। ঘটনায় মা ও মেয়েকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছে পিসিশাশুড়ির দেহ (Deadbody in Bag) নিয়ে ট্রেনে সফর করে মা-মেয়ে। নিয়ে আসা হয় আহিরীটোলা গঙ্গার(Ganges) ঘাটে।
জানা গিয়েছে, অভিযুক্তরা মধ্যমগ্রামে একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতেন, সেখানেই খুন করা হয় বলেই জানতে পেরেছে পুলিশ। মাথায় ভারি ভোতা কিছু দিয়ে আঘাত করা হয় বলেই প্রাথমিক তদন্তে মনে করছে পুলিশ। পুলিশ ধৃতদের কাছ থেকে ট্রেনের টিকিট উদ্ধার করেছে। উত্তর ২৪ পরগণার কাজিপাড়া থেকে টিকিট কাটা হয়েছে বলেই জানিয়েছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ ধৃতদের ফাল্গুনী ঘোষ ও তাঁর মা আরতি ঘোষ নামে চিহ্নিত করেছে। মৃত মহিলাকে সুমিতা ঘোষ নামে চিহ্নিত করা হয়েছে। জানা গিয়েছে তিনি সম্পর্কে ফাল্গুনী ঘোষের পিসিশাশুড়ি। অভিযোগ তাঁর দেহই কেটে টুকরো করে ট্রলিতে ভরে গঙ্গায় ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করছিল।
আরও পড়ুন: https://thenewspole.com/2025/02/25/kerala-man-confesses-to-murdering-6/
ঘটনার পর কলকাতা পুলিশের জয়েন্ট সিপি ক্রাইম রুপেশ কুমার জানিয়েছেন, ফাল্গুনী ঘোষের পিসিশাশুড়ি সুমিতা ঘোষকে খুন করা হয়েছে। মৃত্যু কিভাবে হয়েছে তা জানতে দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। পুলিশ আরও জানতে পেরেছে ধৃতরা ট্যাক্সি নিয়ে দেহ ফেলার জন্য একাধিক ঘাটে ঘুরে বেড়ায়। প্রথমে তারা ট্যাক্সি নিয়ে প্রিন্সেপ ঘাটে যায়। সেখানে অনেক ভিড় থাকায় ট্রলি ফেলার সাহস পায়নি ধৃতরা। তারপর আহিরিটোলা ঘাটে ভিড় কম থাকায় সেখানে ফেলার পরিকল্পনা করে। ফেলার আগেই ঘটে বিপত্তি। স্থানীদের সন্দেহ হতে খবর দেওয়া হয় পুলিশে। ব্যাগ খুলতেই চোখ কপালে ওঠে সকলের। ব্যাগের মধ্যে ছিল ৩ টুকরো দেহ। উদ্ধার হয়নি মাথা।