Dog Blood Transfusion: ওরাও রক্ত দিতে পারে, স্বাক্ষী থাকল শহর কলকাতা

কলকাতা রাজ্য

নিউজ পোল ব্যুরো: সারমেয়রা (Dogs) মানুষের সবথেকে প্রিয় বন্ধু । সবসময় বোঝে মানুষের কথা। অনেক সময় মানুষের শরীরে প্রয়োজন হয় রক্তের (Blood Transfusion)। সে রক্তের যোগান দেয় মানুষ‌ই। কিন্তু ওদের শরীরেও তো প্রয়োজন হয় রক্তের (Dog Blood Transfusion)। ওদের‌ও তো হয় জটিল রোগ। তখন সেই রক্ত কে দেবে? উত্তর ওরাই দেবে। প্রয়োজনে যে রক্ত দিতে পারে ওরাও তার নিদর্শন পাওয়া গেল খাস কলকাতার (Kolkata) বুকে একটি পশু হাসপাতালে (Animal Hospital)। বুধবার সমাজমাধ্যমে (Social Media) এমনটাই জানিয়েছেন তৃণমূলের (TMC) রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)।

আরও পড়ুন: Assam Earthquake: মাঝরাতে ফের ভূমিকম্প, রিখটার স্কেলে তীব্রতা ৫

১০ মাস বয়সী ‘লিও’, একটি অসুস্থ ডোবারম্যানের (Leo the Doberman) নতুন জীবন ফিরিয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে রক্ত দিতে (Dog Blood Transfusion) এগিয়ে এল বছর দশের ফিমেল গোল্ডেন রিট্রিভার ‘কোকো’ (Coco the Golden Retriever)। শহর কলকাতায় এইধরণের বিরল রক্তদানের ঘটনা এই প্রথম। লিও নামের এই ডোবারম্যানটি রক্তের জটিল রোগে ভুগছে এবং সোমবার তার হিমোগ্লোবিনের (Haemoglobin) মাত্রা তিনে নেমে যাওয়ায় অবিলম্বে রক্তের প্রয়োজন দেখা দেয়। কারণ একটি কুকুরের নুন্যতম নিরাপদ হিমোগ্লোবিনের মাত্রা হচ্ছে ১৪.১।

সল্টলেকের একটি পশুদের প্যাথলজিকাল ল্যাবে (Animal Pathological Lab) এই রক্তদান প্রক্রিয়াটি (Dog Blood Transfusion) সম্পন্ন হয়েছে। তবে কুকুরদের মধ্যে রক্তদানের বিষয়টি এত সহজ নয়। কারণ বিজ্ঞানিরা (Scientist) এখনও পর্যন্ত একডজন রক্তের গ্রুপ (Blood Group) খুঁজে পেয়েছেন এই চারপেয়েদের মধ্যে। তাঁদের মতে সংখ্যাটা আরও বাড়তে পারে। এর থেকেও জটিল বিষয় হচ্ছে কোন কুকুরের শরীরে একসঙ্গে এই ১২ টির‌ও বেশি রক্তের গ্রুপ থাকতে পারে।

নিউজ পোল বাংলা ফেসবুক পেজের লিংক: https://www.facebook.com/share/1EA79Afcw5/

বুধবার সকালে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে (X Handle) দুটি কুকুরের ছবি শেয়ার (Share) করে লিখেছেন, “আমি একজন পোষ্য প্রেমী মানুষ। প্রতীপ চক্রবর্তীর এই সেন্টারটি উদ্বোধনের সময় গিয়েছিলাম। কিন্তু আমি জানতাম না যে তারা এই ধরনের জটিল বিষয়গুলির ক্ষেত্রেও দক্ষতার সঙ্গে পরিষেবা দিচ্ছেন।” উত্তর চব্বিশ পরগনার জগদ্দলের বাসিন্দা সত্যজিৎ বিদ্যার্থীর লিওর এখনও ডায়ালিসিস এবং কেমোথেরাপি বাকি আছে। তবে জগদ্দলের‌ই বাসিন্দা ঋষিকান্ত মুখোপাধ্যায়ের কোকোর দেওয়া রক্ত পেয়ে সে এখন খানিক ভাল আছে। শহরের বুকে এইধরণের রক্তদান (Dog Blood Transfusion) করে নজির স্থাপন করেছে কোকো।