CNMC: মায়ের জীবন বাঁচাতে পেসমেকার,জন্ম দিল সদ্যোজাতের

কলকাতা জেলা রাজ্য

নিউজ পোল ব্যুরো: এ যেন এক অদম্য উদ্যোগ! অস্থায়ী পেসমেকার (Temporary pacemaker) বসিয়ে সদ্যোজাতকে পৃথিবীর আলো দেখালো মা। ক্যালকাটা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের (CNMC) চিকিৎসক দল এক সাহসী উদ্যোগের মাধ্যমে এক অন্তঃসত্তা মহিলার জীবন বাঁচাতে সফল হয়েছে। হৃদরোগে (Heart disease) আক্রান্ত এক প্রসূতিকে (Maternity) বাঁচাতে বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। রোগীর অন্তঃসত্ত্ব অবস্থায় তার হার্টের সমস্যা (Heart problems) ছিল গুরুতর এবং তাতে তার জীবন ঝুঁকি ছিল চিকিৎসকরা তার জন্য একটি অস্থায়ী পেসমেকার স্থাপন করে। এই অবস্থায় সিজারিয়ান অপারেশনের (Cesarean section) মাধ্যমে এক সদ্যজাতর (Newborn) জন্ম দেয় মহিলা।

আরও পড়ুন:https://thenewspole.com/2025/03/01/panagarh-accident-case-has-takes-a-new-turn/

ক্যালকাটা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের (CNMC) সুপার ড: অর্ঘ্য মৈত্র, স্ত্রীরোগ বিভাগের প্রধান ড: প্রণব বিশ্বাস এবং অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর ড: সুশান্ত কুমার পাইনের নেতৃত্বে এই টিম কাজ করে। অপারেশন টিমে ছিলেন স্ত্রীরোগ বিভাগের ড: ধারা লায়েক, ড: পৌলমী রায় এবং অ্যানস্থেটিস্ট ড: মৃন্ময় বসাক। এই চিকিৎসা প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন মৌমিতা বর্মন, যিনি উত্তরবঙ্গের বালুরঘাটের (Balurghat) বাসিন্দা এবং ২৬ বছর বয়সী সদ্য এক বিবাহিত মহিলা। একদিন হঠাৎই শ্বাসকষ্ট ও বুকে চাপ অনুভব করার পর ইফিজি রিপোর্টে (ECG report) ধরা পড়ে তার হৃদরোগের সমস্যা।সেসময় তিনি গর্ভবতী (Pregnant) ছিলেন এবং সেই অবস্থায় অস্ত্র পচার করা ছিল খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।

নিউজ পোল বাংলা ফেসবুক পেজের লিঙ্ক:https://www.facebook.com/share/1XhiZuM5DK/

বালুরঘাটের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন যে, মৌমিতা হৃদরোগের কারণে অস্ত্রোপচার অত্যন্ত বিপদজনক। এই অবস্থায় তাকে পেসমেকার (Pacemaker) বসানোর পরেই অপারেশন সম্ভব হতে পারে। তবে মৌমিতার পরিবার শেষ পর্যন্ত সরকারি চিকিৎসাসেবা বেছে নেয় এবং ক্যালকাটা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজে (CNMC) চিকিৎসা শুরু হয়। সেখানে মৌমিতার শারীরিক পরীক্ষায় জানা যায়, তার গর্ভস্থ সন্তানের ফুসফুস এখনো পুরোপুরি গঠন হয়নি এবং মায়ের হার্টের (Heart) অবস্থা কিছুটা সংকটজনক। তবুও চিকিৎসকরা দ্রুত একটি অস্থায়ী পেসমেকার বসান এবং সন্তানের ফুসফুস (Lungs) গঠন সম্পন্ন করার জন্য ইনজেকশন (Injection) দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এই ইনজেকশন প্রতিদিন ১২ ঘণ্টা পরপর ৪ ডোজ দিতে হয়।

চিকিৎসকরা সিদ্ধান্ত নেন, প্রথমে মায়ের জীবন বাঁচাতে হবে। তারপর সন্তানকেও বিপদমুক্ত করতে হবে। শেষ পর্যন্ত শুক্রবার পেসমেকার স্থাপিত অবস্থায় মৌমিতা সিজারিয়ান অপারেশন করা হয় এবং মা ও সন্তান দুজনের সুস্থ আছেন এখন। প্রসূতিকে এখনো ইনসেন্টিভ কেয়ার ইউনিট রাখা হয়েছে এবং ভবিষ্যতে স্থায়ী পেসমেকার বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে।

আরও পড়ুন:https://thenewspole.com/2025/03/01/terrible-road-accident-in-tamluk-3-person-died-in-one-family/