Jadavpur University: উত্তাল যাদবপুর, শিক্ষামন্ত্রী প্রবেশ করতেই আগুনে ঘি

breakingnews কলকাতা

নিউজ পোল ব্যুরো: রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় (Jadavpur University)। ওয়েবকুপা অর্থাৎ তৃণমূলপন্থী শিক্ষক-অধ্যাপক সংগঠনের বার্ষিক সাধারণ সভাকে কেন্দ্র করেই ঘটনার সূত্রপাত। বার্ষিক সভা শুরুর আগে ছাত্র ভোট চেয়ে সভাগৃহের বাইরে এসএফআইয়ের সদস্যরা হোর্ডিং, পোস্টার টাঙিয়ে দিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার দাবি জানাতে থাকেন। এরপরই ক্যাম্পাসে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরির জন্য টিএমসিপি (TMCP) প্রতিবাদ করতেই দুই ছাত্র সংগঠনের সদস্যদের মধ্যে বচসা বেঁধে যায়। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এক ছাত্রের রক্তও ঝড়েছে বলে জানা গিয়েছে। অসুস্থ হয়ে পড়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।

দ্রুত ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবিতে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। হাতাহাতিতে জড়িয়ে পরে দুই পক্ষের সমর্থকরা। ওয়েবকুপার সভা শেষে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে ক্যাম্পাসে আটকে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এসএফআইয়ের বিরুদ্ধে। এমনকি শিক্ষামন্ত্রীর কনভয়ের গাড়ির চাকার হাওয়া খুলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এসএফআই ও তৃণমূল ছাত্র পরিষদের হাতাহাতিতে উত্তাপ বাড়তে থাকে । দুপক্ষের হাতাহাতিতে এক ছাত্রের মাথা মাথা ফেটে যায়। অন্যদিকে অভিযোগ উঠেছে হাতাহাতির মাঝে পড়ে শিক্ষামন্ত্রীর ঘড়ি ছিড়ে গিয়েছে। এই সবের মধ্যেই অসুস্থ হয়ে পরেণ শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এসএসকেএম হাসপাতালে। শিক্ষামন্ত্রীর গাড়ির কাঁচ ভেঙ্গে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে।

আরও পড়ুনঃ https://thenewspole.com/2025/03/01/jadavpur-university-webcooper-meeting-protests/

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে বসেই ঘটনা প্রসঙ্গে  ব্রাত্য বসু বলেন, “এটাই হচ্ছে এই সব (বাম-অতিবাম) ছাত্র সংগঠনের গণতন্ত্র। এরাই রাস্তায় নেমে অসভ্যতা করেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ধৈর্যে বিশ্বাস করেন। গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেন। আমরা সহিষ্ণুতার পাঠ জানি। আমি ওদের বললাম আপনারা দুজন আসুন। ওরা বলল চল্লইস জন যাব। আর এতজন মিলে কথা হয়। এরপরই ওরা বাধা দেয়। আমাদের প্ররোচনা দেওয়া হচ্ছে যাতে পুলিশ ডাকি। কিন্তু সেটা করব না।”  দফায়-দফায় অশান্তি ছড়িয়ে পড়েছে কাম্পাস চত্বরে। যদিও যাদবপুরে এই ঘটনা নতুন নয়। এখানেই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে এভাবেই আক্রান্ত হন তৎকালীন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়ও । এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। ফেসবুক পোস্টে কুণাল ঘোষ লেখেন, ‘অধ্যাপক ডঃ প্রদীপ্ত মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে যাদবপুরে যারা এই অসভ্যতা করল, তাদের এবং ওই সংগঠনগুলিকে চিহ্নিত করে রাখা দরকার। প্রদীপ্ত নিপাট ভদ্রলোক। তার সঙ্গে বাঁদরামি করা কয়েকটা অসভ্যের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা দরকার। তৃণমূলের সৌজন্য মানে দুর্বলতা নয়। গায়ে হাত দেবে কেন? শাসক বলে সংযত নিশ্চয় থাকা উচিত। কিন্তু বাঁদরামি সীমা পার করলে উপযুক্ত জবাব দেওয়া উচিত।

নিউজ পোল ফেসবুক পেজের লিংক: https://www.facebook.com/share/1EA79Afcw5/