Tinnitus: নীরব পরিবেশেও কানে বাজছে শব্দ? সতর্ক হোন এখনই

স্বাস্থ্য

নিউজ পোল ব্যুরো: আজকের ডিজিটাল যুগে হেডফোন (Headphone), ইয়ারফোন (Earphone), ইয়ারবাড (Earbuds) এবং এয়ারপড (AirPods) আমাদের জীবনের অপরিহার্য অংশ হয়ে উঠেছে। গান শোনা, সিনেমা দেখা, বা কাজের সময় এগুলোর ব্যবহার একদম সাধারণ ব্যাপার। তবে দীর্ঘ সময় ধরে উচ্চ শব্দে (Loud Noise) এই ডিভাইসগুলো ব্যবহার করলে কানের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। শুধু শ্রবণশক্তি কমে যাওয়াই (Hearing Loss) নয়, এর ফলে হতে পারে এক ভয়ঙ্কর সমস্যা— টাইনিটাস (Tinnitus)। আপনি কি কখনো একদম নীরব পরিবেশেও কানে অদ্ভুত রিং (Ringing), হিসহিস (Hissing), গুঞ্জন (Buzzing) বা ঝিঁ ঝিঁ পোকার মতো শব্দ শুনেছেন? কিন্তু আশেপাশের কেউ সেটি শুনছে না? এই অবস্থাকেই চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয় টাইনিটাস। টাইনিটাস বিভিন্ন কারণে হতে পারে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য- শ্রবণশক্তি হ্রাস (Hearing Loss) – বয়স বাড়ার সঙ্গে বা উচ্চ শব্দের সংস্পর্শে বেশি সময় থাকলে শ্রবণশক্তি কমে যায়, যা টাইনিটাসের অন্যতম কারণ। অত্যধিক উচ্চ শব্দে সংস্পর্শ (Loud Noise Exposure) – জোরে গান শোনা বা কনস্ট্রাকশন সাইটের মতো উচ্চ শব্দযুক্ত পরিবেশে বেশি সময় থাকলে টাইনিটাস হতে পারে। কানের সংক্রমণ (Ear Infection) – কানে ইনফেকশন বা ময়লা জমে থাকলে টাইনিটাসের সমস্যা দেখা দিতে পারে। মানসিক চাপ (Stress) ও উচ্চ রক্তচাপ (High Blood Pressure) – অতিরিক্ত মানসিক চাপ বা অনিয়ন্ত্রিত রক্তচাপ থাকলেও টাইনিটাসের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

আরও পড়ুন:- Cancer Risk in Idli: ইডলি খেলে বাড়ছে ক্যান্সারের ঝুঁকি!

হেডফোন ব্যবহারে কি টাইনিটাস হয়?
হ্যাঁ! গবেষণায় দেখা গেছে, উচ্চ ভলিউমে (Full Volume) হেডফোন বা ইয়ারবাড ব্যবহার করলে শ্রবণশক্তির উপর ভয়ানক(Tinnitus) প্রভাব পড়ে। যেহেতু ইয়ারবাড সরাসরি কানের ক্যানেলের (Ear Canal) মধ্যে বসে, এটি আরও বেশি ক্ষতিকর হতে পারে। শুধু কানের সমস্যাই নয়, উচ্চ ভলিউমে গান শোনা মানসিক চাপ (Mental Stress), ক্লান্তি (Fatigue) এবং কগনিটিভ পারফরম্যান্স (Cognitive Performance) কমিয়ে দিতে পারে।

আরও পড়ুন:- Gout Pain: বাতের ব্যথায় ভয়ঙ্কর উপসর্গ, জানুন বিস্তারিত

টাইনিটাসের (Tinnitus) চিকিৎসা আছে কি?
এখনও পর্যন্ত টাইনিটাসের জন্য কোনো স্থায়ী চিকিৎসা (Permanent Cure) নেই। তবে কিছু উপায় মেনে চললে এর উপসর্গ (Symptoms) নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব—সাউন্ড থেরাপি (Sound Therapy) – হালকা মিউজিক বা সাদা শব্দ (White Noise) ব্যবহার করলে টাইনিটাসের ধ্বনি কম অনুভূত হতে পারে। কগনিটিভ বিহেভিওরাল থেরাপি (CBT) – মানসিক চাপ কমানোর জন্য এই থেরাপি বেশ কার্যকর। জীবনধারায় পরিবর্তন (Lifestyle Changes) – উচ্চ শব্দ এড়িয়ে চলা, ধূমপান-মদ্যপান না করা এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা প্রয়োজন।

নিউজ পোল বাংলা ফেসবুক পেজের লিঙ্ক:- https://www.facebook.com/share/164mWXbsyp/

টাইনিটাস(Tinnitus) এড়াতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম মেনে চলা জরুরি—
১) হেডফোনের ব্যবহার কমান – সর্বোচ্চ ৬০% ভলিউমে, ৬০ মিনিটের বেশি নয় (60-60 Rule)।
২) উচ্চ শব্দ এড়িয়ে চলুন – কনসার্ট, ট্রাফিক বা কনস্ট্রাকশন সাইটের মতো জায়গায় কানে প্লাগ ব্যবহার করুন।
৩) স্ট্রেস কমান – মেডিটেশন (Meditation) ও পর্যাপ্ত ঘুম নিন।
৪) ডায়েটে পরিবর্তন আনুন – অতিরিক্ত লবণ, ক্যাফেইন (Caffeine), অ্যালকোহল ও প্রসেসড ফুড কমান।
যদি কানে অস্বাভাবিক শব্দ শুনতে পান, অবহেলা না করে দ্রুত একজন অডিয়োলজিস্ট বা ইএনটি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। কানের যত্ন নিন, সুস্থ থাকুন!