নিউজ পোল ব্যুরো: রবিবার সকাল শুরু হয়েছিল শান্ত পরিবেশে, কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সন্তোষপুর স্টেশনে (Santoshpur Station)। সকাল সওয়া ৭টা নাগাদ আচমকাই স্টেশনের একটি অংশে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড (fire accident) ঘটে, যার ফলে মুহূর্তের মধ্যে পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার নেয়। আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং লেলিহান শিখায় (flames) পুড়ে যায় স্টেশন সংলগ্ন একাধিক ঝুপড়ি। দমকল (fire brigade) বিভাগকে দ্রুত খবর দেওয়া হলেও, তারা পৌঁছনোর আগেই আগুন ভয়ঙ্কর রূপ নেয়। স্থানীয় বাসিন্দারা আগুন নেভানোর চেষ্টা করলেও পরিস্থিতি হাতের বাইরে বেরিয়ে যায়। কয়েক মিনিটের মধ্যে আগুন আশপাশের ঝুপড়িগুলিতে ছড়িয়ে পড়ে। শেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, প্রায় ১৫টি ঝুপড়ি সম্পূর্ণ ভস্মীভূত (burnt to ashes) হয়ে গিয়েছে। রবিবার ছুটির দিন হলেও সকাল থেকেই কিছু সংখ্যক যাত্রী (passengers) সন্তোষপুর স্টেশনে উপস্থিত ছিলেন। হঠাৎ করে আগুন ছড়িয়ে পড়ার কারণে স্টেশনে থাকা যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। অনেকে দ্রুত স্টেশন ছেড়ে বেরিয়ে আসেন। স্থানীয়রা প্রথমে নিজেরাই আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন, কিন্তু আগুনের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে তা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়নি।
আরও পড়ুন:- Panchakanya 2025: সমাজ গঠনে নারীর অবদান! পঞ্চকন্যা সন্মান ২০২৫
এই অগ্নিকাণ্ডের ফলে শিয়ালদহ-বজবজ শাখার (Sealdah-Budge Budge line) ট্রেন পরিষেবা ব্যাহত (disrupted) হয়েছে। এমনিতেই এই রুটে ট্রেনের সংখ্যা কম, তার উপর এই অগ্নিকাণ্ডের কারণে পরিষেবা আরও বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। বহু যাত্রীকে বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে বাস এবং অন্যান্য পরিবহণের (transportation) উপর নির্ভর করতে হয়। ফলে সকাল থেকেই সাধারণ যাত্রীদের চরম দুর্ভোগের (inconvenience) শিকার হতে হয়েছে। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে(Santoshpur Station) পৌঁছয় দমকলের একাধিক ইঞ্জিন (fire engines)। দমকল কর্মীরা যুদ্ধকালীন তৎপরতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। আগুন যাতে আরও ছড়িয়ে না পড়ে, সেদিকে বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে। তবে ঝুপড়িগুলোর মধ্যে দাহ্য পদার্থ (flammable materials) থাকার কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।স্থানীয় প্রশাসন ও রেলের (Indian Railways) তরফে জানানো হয়েছে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ট্রেন পরিষেবা দ্রুত স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে। এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পিছনে কী কারণ রয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে, শর্ট সার্কিট (short circuit) থেকেই আগুন লাগতে পারে। যদিও স্থানীয়দের মধ্যে অনেকেই সন্দেহ প্রকাশ করেছেন যে অন্য কোনো কারণে এই অগ্নিকাণ্ড ঘটে থাকতে পারে।
নিউজ পোল বাংলা ফেসবুক পেজের লিঙ্ক:- https://www.facebook.com/share/164mWXbsyp/
দমকল ও রেলের তরফে ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত (investigation) শুরু করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর (affected families) পুনর্বাসনের বিষয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। তবে এই ধরণের দুর্ঘটনা প্রতিরোধে আরও সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সন্তোষপুর স্টেশনের(Santoshpur station) এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড শুধু একাধিক পরিবারকে গৃহহীন করেই রাখেনি, পাশাপাশি হাজার হাজার নিত্যযাত্রীর (daily commuters) ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। রেল পরিষেবা স্বাভাবিক করতে সময় লাগবে, তবে এই ঘটনা ভবিষ্যতে আরও নিরাপত্তা ব্যবস্থা (safety measures) গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরল। এখন দেখার বিষয়, প্রশাসন কীভাবে এই বিপর্যয় সামাল দেয় এবং ভবিষ্যতে এমন ঘটনা এড়াতে কী পদক্ষেপ নেয়।