নিউজ পোল ব্যুরো: ছত্তিশগড়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং কংগ্রেস নেতা ভূপেশ বাঘেলকে(Bhupesh Baghel) কেন্দ্র করে মদ কেলেঙ্কারির (Liquor Scam) তদন্তে বড় পদক্ষেপ নিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate – ED)। আজ সোমবার সকালে ইডি তার ভিলাই (Bhilai) শহরের বাড়ি এবং ছেলে চৈতন্য বাঘেলের (Chaitanya Baghel) সঙ্গে সম্পর্কিত একাধিক স্থানে অভিযান চালিয়েছে। ইডির কর্মকর্তারা দুর্গ (Durg) জেলায় বাঘেল পরিবারের সঙ্গে যুক্ত কমপক্ষে ১৪টি স্থানে অভিযান চালান। মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন (Prevention of Money Laundering Act – PMLA) অনুযায়ী এই অভিযান পরিচালিত হয়। কর্মকর্তাদের মতে, অভিযানের সময় বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ নথি (Documents) পরীক্ষা করা হয়েছে, যা মদ কেলেঙ্কারির সাথে সম্পর্কিত হতে পারে।
আরও পড়ুন:- TMC: কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ মুর্শিদাবাদের ২ বারের কংগ্রেস বিধায়ক
এই অভিযানের পর ভূপেশ বাঘেল(Bhupesh Baghel) কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, “সাত বছর ধরে চলা একটি মিথ্যে মামলা আদালত খারিজ করে দেওয়ার পর, আজ সোমবার সকালে ইডির কর্মকর্তারা আমার বাড়িতে প্রবেশ করেছেন। যদি কেউ মনে করে যে এই ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে পাঞ্জাবে (Punjab) কংগ্রেসকে দুর্বল করা সম্ভব, তবে এটি ভুল ধারণা।” ইডির দাবি, কথিত মদ কেলেঙ্কারির কারণে ছত্তিশগড় রাজ্যের কোষাগারের (State Treasury) বিশাল ক্ষতি হয়েছে। সংস্থাটির মতে, ২০১৯ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে মদ সিন্ডিকেট (Liquor Syndicate) অবৈধভাবে প্রায় ২ হাজার ৬১ কোটি টাকা পাচার করেছে। তদন্তে উঠে এসেছে যে, চৈতন্য বাঘেল এই কেলেঙ্কারি থেকে অর্থ পেয়েছেন।
নিউজ পোল বাংলা ফেসবুক পেজের লিঙ্ক:- https://www.facebook.com/share/164mWXbsyp/
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, মদ সিন্ডিকেটটি বিভিন্ন উপায়ে অবৈধ অর্থ উপার্জন করত। এর মধ্যে অন্যতম ছিল— ডিস্টিলারদের কাছ থেকে ঘুষ আদায়: ছত্তিশগড় রাজ্য মদ সংস্থা (State Liquor Corporation) কর্তৃক সংগৃহীত প্রতিটি মদের ‘কেস’ (Liquor Case) বিক্রির সময় ডিস্টিলারদের থেকে ঘুষ নেওয়া হতো। রাজ্যের দেশি মদের বিক্রিতে দুর্নীতি: মদ সিন্ডিকেট দ্বারা পরিচালিত দোকান থেকে বিক্রিত দেশি মদের (Country Liquor) হিসাব সম্পূর্ণ গোপন রাখা হতো। বিদেশি মদের ক্ষেত্রেও কমিশন: বিদেশি মদের (Foreign Liquor) আমদানিতেও অবৈধ কমিশন নেওয়া হত। ইডির দাবি, মদের বিক্রির মাধ্যমে অর্জিত বিপুল অর্থের একটিও সরকারী কোষাগারে জমা হয়নি; বরং পুরো অর্থ সিন্ডিকেট সদস্যদের মধ্যে ভাগ করা হয়েছে। এই তদন্তের(Bhupesh Baghel) পর ইডি আরও প্রমাণ সংগ্রহের জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে এই তদন্ত রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে। এখন দেখার বিষয়, ইডির পরবর্তী পদক্ষেপ কী হয় এবং বাঘেল ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে আরও কী তথ্য সামনে আসে।