জলের অপব্যবহার রুখতে সক্রিয় নবান্ন

রাজ্য

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতাঃ মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরেই পানীয় জলের অপব্যবহার রুখতে সক্রিয় পদক্ষেপ নিল নবান্ন। সম্প্রতি দেদার পানীয় জলের চুরি আটকাতে নানান অভিযোগ আসায় ও জলজীবন মিশনের জলের অপব্যবহার নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরই এই বিষয়ে ৭০টি অভিযোগ রাজ্য পুলিশের কাছে জমা পড়ে। অভিযোগ জানানো হয় জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরেও। চলতি বছরের তীব্র গরমে একাধিক জায়গায় জলের কষ্টের সম্মুখীন হন রাজ্যবাসী।

শহর থেকে গ্রামবাংলায় জলকষ্ট পেয়েছিলেন সাধারণ মানুষ। এর জন্য বিশেষজ্ঞরা দায়ী করেছিলেন সর্বপ্রথম জলের অপচয়কেই। কিন্তু বারংবার সতর্কবার্তা দেওয়ার সত্ত্বেও নাগরিকদের সচেতন করা যায়নি। আর তাই এবার পানীয় জলের অপচয় ঠেকাতে কড়া আইনি পথে হাঁটতে চলেছে রাজ্য সরকার। রাজ্য সরকারের অধীনে থাকা জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর (পিএইচই) বিষয়টিকে পর্যালোচনা করবে এমনটা আগেই শোনা গিয়েছিল, যার শুরু বোধহয় এখানেই। বর্তমানে সারা বিশ্বের একাধিক দেশ জল সংকটের সম্মুখীন হচ্ছে। জলের অপচয়ের ফলে বিশ্বব্যাপী জলের ঘাটতি বাড়ছে। যার প্রভাব পড়ছে বাস্তুতন্ত্রের ওপরেও। বিপর্যয়কর প্রভাবে ক্রমশই বিভিন্ন ক্ষেত্রে নষ্ট করছে পরিবেশের ভারসাম্য।

পানীয় জলের অপব্যবহার দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে রাজ্যে। এখনও পর্যন্ত ৩২৮৯ টি জায়গাকে চিহ্নিত করা গেছে বলে সূত্রের খবর। পানীয় জলের অপব্যবহার হচ্ছে কৃষিক্ষেত্রেও। গবাদি পশুপালনেও কয়েকটি জায়গায় পানীয় জল ব্যবহার করা হচ্ছে! আর কোথাও পানীয় জল ব্যবহৃত হচ্ছে হ্যাচারি, পোলট্রি, পুকুরে মাছ চাষ–সহ নানা কাজে। পাইপ লাইন কেটে জল চাষের জমি সহ নানা কাজে বেআইনি ভাবে ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ উঠছে।