নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতাঃ রাজ্য সরকারের নিরন্তর নজরদারিতে রাজ্যে শিশু শ্রমিকের সংখ্যা তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে কমেছে। বিধানসভায় আজ বিজেপি সদস্য মধুসূদন বাগের এক প্রশ্নের জবাবে শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক জানান, অভিযান চালিয়ে বিগত বছর গুলিতে শ্রম দপ্তরেরে আধিকারিকরা কিছু শিশু শ্রমিক উদ্ধার করলেও চলতি বছরে এখনো পর্যন্ত কোনো শিশু শ্রমিক উদ্ধার হয়নি। প্রতিনিয়ত আধিকারিকদের নজরদারি চালানো,সচেতনতা প্রাচারে সচেতনতা বৃদ্ধি , এবংশ্রমিক সংগঠন ও সেচ্ছাসেবী সংগঠন ,মালিকদের মিলিত প্রয়াসে এটা সম্ভব হয়েছে বলে তিনি জানান। অন্যদিকে শ্রমমন্ত্রী অভিযোগ করেন, ২০২১ সাল থেকে কেন্দ্রীয় সরকার জাতীয় শিশু শ্রমিক প্রকল্পে অর্থ সহায়তা বন্ধ করে দিয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় রাজ্যে ২৯০ টি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র চালু ছিল। যেখানে ১২ হাজার ১২১ জন শিশু শ্রমিককে প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন দেওয়া হয়। কেন্দ্রীয় সাহায্য বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এরা চরম সংকটে পড়েছেন।
শিশুশ্রম মারাত্মক বিপর্যয় আনতে পারে একটি দেশের বিকাশে। কেবল একটি শিশু বা তার পরিবারের জন্য নয়, পুরো সমাজের জন্য দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি ডেকে আনে। শিশুশ্রমের ফলে শিশুরা তাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ থেকে বঞ্চিত হয়। শিশুশ্রম শিক্ষার সুযোগ কেড়ে নিয়ে অল্প বয়সেই তাদের জীবনের সম্ভাবনাগুলোকে ধ্বংস করে দেয়। এমনকি ঝুঁকিপূর্ণ কাজের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার ফলে দীর্ঘদিন শারীরিক অসুস্থতায় ভুগতে পারে তারা। শিশুশ্রমের সামাজিক প্রভাবও গভীর। শিশুশ্রমের ফলে বাড়ে দারিদ্র্যের চক্র।
শিশুশ্রম পরিবারের আর্থিক অবস্থা উন্নত করতে গেলেও নষ্ট করে সন্তানদের সঠিক সময়ে শিক্ষার সুযোগ। যার ফলে স্বাভাবিকভাবেই ভবিষ্যতে উন্নতির পথ রুদ্ধ হয়ে যায়। এর থেকেই পরবর্তীতে বাড়তে পারে অপরাধ মূলক কার্যকলাপ।