হাসপাতাল থেকে কন্ডোম চুরি করে যৌনপল্লীতে চড়া দামে বিক্রি, ধৃত ১

breakingnews অপরাধ জেলা রাজ্য স্বাস্থ্য

নিউজ পোল ব্যুরো, বাঁকুড়া: হাসপাতাল থেকে বিনামূল্যে দেওয়া কন্ডোম চুরি করে তা যৌনপল্লীতে বিক্রির অভিযোগ উঠল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। অভিযোগ সেই ব্যক্তি হাসপাতালের কর্মী। অভিযোগ অস্বীকার করেছেন হাসপাতালের সুপার।

সদর হাসপাতাল থেকে কন্ডোম চুরি করে যৌনপল্লীতে তা বিক্রির অভিযোগে গ্রেফতার ১। ধৃতের নাম রাজীব জমাদার। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, উঠলেও ধৃত ব্যক্তি হাসপাতালের কর্মী নন। সে নাকি সবসময়েই মদ্যপ অবস্থায় হাসপাতাল চত্বরের এদিক-সেদিক পড়ে থাকেন। হাসপাতাল সুপারের এই সাফাইয়ের পর তাঁরই অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার রাজীব জমাদারকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

উল্লেখ্য, রবিবার যৌনপল্লীর মহিলারা জেলা সদর হাসপাতালে গিয়ে কন্ডোম না পাওয়ার অভিযোগ করেন। এর পাশাপাশি হাসপাতালের এক কর্মী যৌনপল্লীতে চড়া দামে কন্ডোম বিক্রি করছে বলেও অভিযোগ জানান তাঁরা। এই অভিযোগের ভিত্তিতেই সোমবার হাসপাতাল লাগোয়া যৌনপল্লীতে সদলবলে যান জেলা সদর হাসপাতালের সুপার পরিতোষ মণ্ডল। ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে জানা যায়, যার নাম করে অভিযোগ করেছিলেন যৌনপল্লীর সদস্যরা, সেই রাজীব আসলে হাসপাতালের কোন কর্মীই নন। এর পরেই তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

পুলিশের তদন্তের সূত্রে জানা গিয়েছে হাসপাতালে পিপি ইউনিটে খোলা অবস্থায় রেখে দেওয়া কন্ডোমের বাক্স থেকে কন্ডোম নিয়ে যৌনপল্লীতে বিক্রি করত রাজীব। জেলা সদর হাসপাতালের সুপার ডা. পরিতোষ মণ্ডল বলেন, ‘হাসপাতালের নাম খারাপ করার জন্যই পরিকল্পিতভাবে এই অভিযোগ করা হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী আমাদের পিপি ইউনিটে কন্ডোম খোলা বাক্সে রেখে দেওয়া হয়। সেখান থেকে যার দরকার সে নিয়ে যান। ওই বাক্স থেকে কেউ কন্ডোম নিয়ে বাইরে বিক্রি করলে আমরা কী করতে পারি ? অভিযুক্ত ব্যক্তি হাসপাতালের কেউ নয়। তাঁর নামে পুলিশে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে‌।’

এরপরেই সোমবার যৌনপল্লীতে দুই বস্তা কন্ডোম বিলি করেন হাসপাতালের সুপার পরিতোষ মণ্ডল। যৌনপল্লীর সদস্যরা জানিয়েছেন, রাজীবকে তাঁরা হাসপাতালের কর্মী বলেই জানতেন।