স্মার্ট মিটার (Smart Electricity Meter) বসানোকে কেন্দ্র করে তীব্র অসন্তোষ তৈরি হয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। ঘটনাটি নদীয়া জেলার শান্তিপুর (Shantipur) অঞ্চলের ঘটনা। অভিযোগ, কোনোরকম সরকারি নির্দেশিকা (Government Guideline) ছাড়াই আচমকা বদলে দেওয়া হয়েছে পুরনো বিদ্যুৎ মিটার (Old Electric Meter)। এতে চরম বিভ্রান্তি ও সমস্যায় পড়েছেন গ্রাহকরা।
প্রসঙ্গত, প্রায় কয়েক মাস ধরেই শান্তিপুর এলাকায় বিদ্যুৎ মিটার বদলের কাজ চলছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, বিদ্যুৎ দফতরের (Electricity Department, WBSEDCL) পক্ষ থেকে আগে থেকে কাউকে কিছু জানানো হয়নি। কোনও চিঠি, বিজ্ঞপ্তি বা মেসেজ ছাড়াই একদিন হঠাৎ কয়েকজন টেকনিশিয়ান এসে পুরনো মিটার খুলে নতুন স্মার্ট মিটার বসিয়ে দিয়ে চলে যান। এই স্মার্ট মিটার মূলত প্রিপেইড ভিত্তিক (Prepaid Electricity Metering System)। অর্থাৎ, মোবাইল রিচার্জের (Recharge System) মতো প্রথমে টাকা দিতে হবে, তবেই মিলবে বিদ্যুৎ। এক্ষেত্রে ন্যূনতম রিচার্জ ১০০ টাকা হলেও, সমস্যার সূত্রপাত ঠিক এখানেই।

আরও পড়ুন:Bengaluru: “বড় শহরে এই ধরনের ঘটনা ঘটতেই পারে” মন্ত্রীর মন্তব্যে বিতর্ক
গ্রাহকদের একাংশের দাবি, ১০০ টাকা রিচার্জ করলেই ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যেই সেই টাকা ফুরিয়ে যাচ্ছে। কেউ কেউ তো বলছেন, ঘণ্টাখানেকেই বিদ্যুৎ কেটে যাচ্ছে। এতে একদিকে যেমন প্রচণ্ড ভোগান্তি হচ্ছে, অন্যদিকে বুঝে উঠতে পারছেন না—বিদ্যুৎ কত ইউনিট খরচ হচ্ছে (Electricity Unit Consumption), আর কীভাবে এত দ্রুত টাকা কেটে নেওয়া হচ্ছে। এই অনিশ্চয়তা ও সমস্যার বিরুদ্ধে বারবার দপ্তরে জানানো হলেও মেলেনি কোনো সমাধান। অভিযোগ, কেউ ফোন ধরছে না, আবার কেউ বিষয়টিকে গুরুত্বই দিচ্ছে না। অতঃপর ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে অবশেষে শান্তিপুর ডাকঘর বিদ্যুৎ অফিসে (Shantipur Post Office Electricity Office) একত্রিত হন ক্ষুব্ধ গ্রাহকরা। স্টেশন ম্যানেজার মানিক তপন কুমার সাঁতরার (Station Manager Manik Tapan Kumar Santra) অফিস ঘেরাও করে চলে জোরালো বিক্ষোভ (Customer Protest)।
স্থানীয়দের সূত্রে খবর, “আমাদের না জানিয়ে কেন পুরনো মিটার তুলে দেওয়া হল? আমরা এই প্রিপেইড পদ্ধতি চাই না। আমাদের আগের মতো পোস্টপেইড মিটার (Postpaid Meter System) ফেরত চাই। এই স্মার্ট মিটারে বিদ্যুৎ কত খরচ হচ্ছে, সেই হিসাব স্পষ্ট নয়। অল্প সময়ে টাকা শেষ হয়ে যাচ্ছে। এতে শুধু ভোগান্তি বাড়ছে।” এ প্রসঙ্গে স্টেশন ম্যানেজার মানিক তপন কুমার সাঁতরা জানান, “আমরা রাজ্য বিদ্যুৎ দপ্তরের নির্দেশ মেনেই স্মার্ট মিটার বসাচ্ছি। এটি সরকারি প্রকল্পের অংশ। তবে যেসব সমস্যা উঠে আসছে, তা আমরা এরইমধ্যেই উচ্চপদস্থ কর্তৃপক্ষের (Higher Electricity Authority) কাছে পাঠিয়েছি। তারা যা নির্দেশ দেবেন, আমরা সেটাই করব।”

এই মুহূর্তে শান্তিপুরের (Shantipur) বেশ কিছু বাড়িতে এই স্মার্ট মিটার কার্যকর হয়েছে এবং অনেকেই বুঝতে পারছেন না কীভাবে এটি কাজ করে। বিদ্যুৎ ব্যবহারের সঙ্গে সঙ্গে কীভাবে টাকা কেটে যাচ্ছে এবং সেটার হিসাব কীভাবে দেখা যায়এ সব বিষয়ে স্পষ্ট ধারণার অভাব থেকেই বিভিন্ন রকম সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন স্থানীয়রা।
নিউজ পোল বাংলা ইউটিউব লিঙ্ক:- https://youtube.com/@newspolebangla?si=mYrQvXTBQ1lG3NFT