Chinese Airbase in Bangladesh: ৭০০ একর জমি চিনের হাতে? বাংলাদেশের সিদ্ধান্তে রুষ্ট ভারত!

আন্তর্জাতিক দেশ

নিউজ পোল ব্যুরো: বাংলাদেশের লালমনিরহাট জেলায় চিনা বায়ুসেনার (Chinese Air Force) জন্য নতুন বিমানঘাঁটি (Chinese Airbase in Bangladesh) তৈরির সম্ভাবনায় উদ্বিগ্ন ভারতসহ আন্তর্জাতিক মহল। এক সাম্প্রতিক রিপোর্ট অনুযায়ী, এই ঘাঁটির জন্য প্রায় ৭০০ একর জমি ইতিমধ্যেই চিহ্নিত করেছে বাংলাদেশ সরকার। যদিও রিপোর্টে এই দাবি ঘিরে কোনও দৃশ্যমান নথিপত্র পেশ করা হয়নি, তবুও ভারতের কূটনৈতিক মহলে এই সম্ভাবনা নিয়ে দুশ্চিন্তা বাড়ছে। বিশেষত ভারতের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা (India Internal Security) এবং কৌশলগত অবস্থানগত দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ শিলিগুড়ি করিডর বা ‘চিকেনস নেক’ (Chicken’s Neck Corridor) এই বিমানঘাঁটির খুব কাছাকাছি হওয়ায় উদ্বেগ আরও গভীর হয়েছে। ৬০ কিলোমিটার দীর্ঘ ও ২২ কিলোমিটার চওড়া এই করিডর ভারতের মূল ভূখণ্ডকে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির সঙ্গে যুক্ত রাখে। এই করিডরের আশপাশে নেপাল, ভুটান, বাংলাদেশ এবং চিনের অবস্থান হওয়ায় এটি ভৌগোলিকভাবে অত্যন্ত সংবেদনশীল এলাকা।

আরও পড়ুন:- Dubai’s Crown Prince: প্রধানমন্ত্রী মোদীর আমন্ত্রণে ভারতে আসছেন দুবাইয়ের যুবরাজ

রিপোর্ট অনুযায়ী, চিনা বিমানঘাঁটিতে (Chinese Airbase in Bangladesh) একসঙ্গে ৭০টিরও বেশি যুদ্ধবিমান (Fighter Jets) ওঠানামা করতে পারবে। এখানে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ গড়ে তোলা হবে— এক, কমব্যাট অপারেশন ইউনিট (Combat Unit), দুই, রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামতি বিভাগ (Maintenance Division), এবং তিন, গবেষণার জন্য একটি ইউনিট (Research Unit)। রিপোর্টে আরও দাবি করা হয়েছে, চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের (Xi Jinping) সঙ্গে সাম্প্রতিক এক বৈঠকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মোহাম্মদ ইউনুস (Mohammad Yunus) এই বিমানঘাঁটির পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছেন। যদিও এই বৈঠক এবং চুক্তি সংক্রান্ত কোনও প্রামাণ্য নথি এখনও সামনে আসেনি। উল্লেখ্য, এই প্রকল্পের নির্মাণকাজের সাব-কন্ট্রাক্ট (Subcontract) দেওয়া হয়েছে একটি পাকিস্তানি সংস্থাকে (Pakistani Firm), এমনটাও দাবি করছে সূত্র। সবকিছু পরিকল্পনা মতো এগোলে চলতি বছরের অক্টোবর মাস থেকেই নির্মাণকাজ শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

নিউজ পোল বাংলা ইউটিউব লিঙ্ক:- https://youtube.com/@newspolebangla?si=mYrQvXTBQ1lG3NFT

এই প্রসঙ্গে, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বাড়ার বিষয়টিও সামনে এসেছে (Chinese Airbase in Bangladesh)। ১৭ এপ্রিল ঢাকায় দুই দেশের মধ্যে সচিব পর্যায়ের বৈঠক (Secretary-level Meeting) অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। সেখানে বাংলাদেশের বিদেশসচিব জসিমউদ্দিন (Jasim Uddin) ও পাকিস্তানের বিদেশসচিব আমনা বালোচ (Amna Baloch) নেতৃত্ব দেবেন। বৈঠকে প্রতিরক্ষা চুক্তি (Defence Agreement), বিনিয়োগ, কৃষি ও সাংস্কৃতিক সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ভারতের দিক থেকে এই সমস্ত ঘটনাকে মোটেও ইতিবাচকভাবে দেখা হচ্ছে না। অতীতে বাংলাদেশে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অস্থিরতার সময় ভারত খাদ্যশস্য থেকে বিদ্যুৎ— সবরকমভাবে সাহায্য করে এসেছে। এমনকি ধর্মীয় গোঁড়া গোষ্ঠীগুলি ভারত-বিরোধী প্রচার চালালেও, ভারত কখনও বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের মুখে অন্নের অভাব হতে দেয়নি।