নিউজ পোল ব্যুরো: গত ২৪ ঘণ্টায় টলিউডে (Tollywood Scandal) যেটা সবচেয়ে বেশি আলোড়ন তুলেছে, তা নিছকই কোনও গসিপ নয়। বরং এই ঘটনা ঘিরে প্রশ্ন উঠেছে সামাজিক দায়বদ্ধতা, নৈতিকতা, জীবন ও মৃত্যুর মূল্য এবং মিডিয়ার চরিত্র নিয়েও। রবিবার সকালেই (Sunday Morning Accident) দক্ষিণ কলকাতার ঠাকুরপুকুরে ঘটে যায় এক ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনা (Road Accident in Thakurpukur)। সকাল সকাল যখন বাজার ভরা, ঠিক সেই সময়ে আচমকাই একটি গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধাক্কা মারে একাধিক মানুষের ওপর। মুহূর্তে আহত হন ছ’জন। আর বিকেল হতেই আসে দুঃসংবাদ—মারা যান একজন। ততক্ষণে শহর জেনে গিয়েছে, সেই গাড়ি ছিল টলিউড পরিচালক সিদ্ধান্ত দাসের (Film Director Involved in Accident)। তাঁর সঙ্গে ছিলেন এক জনপ্রিয় বাংলা টেলিভিশন চ্যানেলের কার্যকরী প্রযোজক শ্রিয়া বসু (Producer Shreya Basu)। একই গাড়িতে ছিলেন অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনও (Actress In Car)।(Rupanjana Mitra)
আরও পড়ুন:- Mallika Banerjee: ঠাকুরপুকুর কাণ্ড নিয়ে কেন এমন বললেন অভিনেত্রী মল্লিকা?
সূত্রের খবর, সারারাত ধরে চলেছিল এক পার্টি। ভোররাতে গাড়ি চালিয়ে ফিরছিলেন সিদ্ধান্ত। তিনি ছিলেন সম্পূর্ণ মদ্যপ। দুর্ঘটনার পর মুহূর্তের মধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় পুলিশ। শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ ও তদন্ত। তবে এই ঘটনার থেকেও যেটা সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media Backlash) বেশি ভাইরাল হয়ে উঠেছে, তা হল শ্রিয়া বসুর অবস্থা ও পোশাক নিয়ে মন্তব্যের ঝড়। যদিও একটি গাড়ি দুর্ঘটনায় আহত ও নিহত মানুষের খবরের পাশে দাঁড়িয়ে, একটি মহিলার পোশাক বা অবস্থাকে ঘিরে যে পরিমাণ কৌতূহল এবং কটাক্ষ ছড়িয়েছে, তা অত্যন্ত অমানবিক ও নিন্দনীয়। দুর্ঘটনার মূল প্রসঙ্গ ছাপিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় যেন ‘শ্রিয়া বসু কাণ্ড’ নামেই পরিচিত হয়ে উঠেছে গোটা বিষয়টি। এই প্রেক্ষিতে মুখ খুলেছেন অভিনেত্রী রূপাঞ্জনা মিত্র (Rupanjana Mitra)। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media Post) স্পষ্টভাবে বলেছেন— “আমাদের Bengal Film & Television Industry এরকম নয়।” তিনি আরও বলেন, “যারা নিজেদের সম্মান রাখতে পারে না, যারা মদ্যপ অবস্থায় হুঁশ হারিয়ে গাড়ি চালিয়ে মানুষের জীবন নিয়ে খেলে, তারা যদি ভাবে তারা পার পেয়ে যাবে, তাহলে তারা বোকার স্বর্গে বাস করে। সাধারণ মানুষ তাদের কী হাল করছে, তা তো ভাইরাল ভিডিয়োতেই স্পষ্ট।”

নিউজ পোল বাংলা ইউটিউব লিঙ্ক:- https://youtube.com/@newspolebangla?si=mYrQvXTBQ1lG3NFT
তবে রূপাঞ্জনা (Rupanjana Mitra) এখানেই থামেননি। সোশ্যাল মিডিয়ায় যে ভাবে একটি মেয়ের ছবি, ভিডিয়ো পণ্য করে ভাইরাল করা হচ্ছে, সেটিরও কড়া সমালোচনা করেছেন তিনি। বলেছেন— “ভিডিয়োগুলো যেভাবে কনটেন্টের মতো ছড়ানো হচ্ছে, সেটাও কি খুব দরকার?” এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে টলিউডের কিছু অংশের লাইফস্টাইল নিয়ে প্রশ্ন তুলছে সমাজের একাংশ। কে ঠিক, কে ভুল—তার ফয়সালা করবে আদালত (Legal Action Awaited)। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে—এই ভাইরাল ক্লিপগুলো দিয়ে সত্যিই কি ন্যায় প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে, না কি নতুন করে কাউকে অপরাধীর মতো সাজিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে?