Abhijit Ganguly: এসএসসিকে দুদিনের সময়সীমা বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

কলকাতা রাজ্য

নিউজ পোল ব্যুরো: সকাল থেকেই ধুন্ধুমার কাণ্ড রাজ্য জুড়ে। প্রতিটি জেলায় জেলায় বিক্ষোভ চাকরিহারাদের। এমন সময়ই সেখানে উপস্থিত হন বিজেপি সাংসদ তথা প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly)। বাংলা রাজনীতির এক অগ্নিগর্ভ মুহূর্তে একদিনের মধ্যে অবস্থান বদলে ফেললেন বিজেপি (BJP) সাংসদ তথা প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly)। এসএসসি চাকরি বাতিল (SSC Scam) ইস্যুতে তিনি এক নতুন আন্দোলনের সূচনা করলেন। একসময় যেখানে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর (Bratya Basu) সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সহযোগিতার হাত বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছিলেন, সেখানে এখন তার মনোভাব পুরোপুরি পাল্টে গেছে। রাজনৈতিক পরিপ্রেক্ষিতেও এটি একটি বড় পরিবর্তন, যা রাজ্যের শিক্ষানীতির উপর গভীর প্রভাব ফেলতে পারে।

আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: কৃষকরা আমাদের গর্ব : মমতা

অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly) একসময় রাজ্য সরকারের সদিচ্ছা দেখানোর আশায় ব্রাত্য বসুর (Bratya Basu) সঙ্গে আলোচনায় বসার পরিকল্পনা করেছিলেন, এখন সেই পরিস্থিতি বদলে গেছে। এসএসসি চাকরির (SSC Scam) দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষকদের উপর প্রশাসনের লাঠিচার্জের ঘটনা তাকে ক্ষুব্ধ করেছে। অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানান, যদি সরকারের তরফ থেকে শিক্ষকদের প্রতি সদিচ্ছা না থাকে, তাহলে তারাও আর কোনো সদিচ্ছা দেখানোর প্রয়োজন মনে করেন না। তিনি বলেন, “যে সরকারের হাতে শিক্ষকদের সঙ্গে এমন আচরণ হচ্ছে, তাদের সঙ্গে কোনো আলোচনার অর্থ নেই।”

এদিন তিনি এসএসসি চেয়ারম্যানের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনায় বসেন। সরকারের তরফ থেকে শিক্ষকদের ন্যায্য দাবি পূরণ করার জন্য দ্রুত আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তার দাবি, যদি আগামী শুক্রবারের (Friday) মধ্যে যোগ্য-অযোগ্য আলাদা করে নতুন তালিকা প্রকাশ না করা হয়, তাহলে শনিবার থেকেই তিনি তীব্র আন্দোলনের পথে হাঁটবেন। এটা শুধু শিক্ষক-শিক্ষিকা কিংবা এসএসসি পরীক্ষার্থীদের সমস্যা নয়। এটি এখন রাজ্য রাজনীতির এক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হয়ে উঠেছে।

নিউজ পোল বাংলা ইউটিউব লিঙ্ক: https://youtube.com/@newspolebangla?si=mYrQvXTBQ1lG3NFT

এদিন বিকাশভবনের শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ এবং অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। যেখানে শিক্ষামন্ত্রীর মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রীকে (Mamata Banerjee) একটি চিঠি দেওয়া হবে এমন দাবি ছিল। তবে বুধবার ডিআই অফিসে (DI Office) যে ব্যাপক অশান্তি ঘটে এবং পুলিশ যেভাবে লাঠিচার্জ করেছে, তার প্রতিবাদে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বৈঠকটি বাতিল করেন এবং মমতাকে উদ্দেশ্য করে লেখা চিঠিটি ছিঁড়ে ফেলেন।

এখন দেখার বিষয় হবে, সরকার এই চাপের সামনে কী পদক্ষেপ নেয় এবং অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের দাবি আদায়ের জন্য তার পরবর্তী আন্দোলন কেমন রূপ নেবে।