সাইয়ের হাতে তুলে দেওয়া বিশ্ব বাংলা ক্রীড়াঙ্গন আগাছার স্তূপ, অভিযোগ ক্রীড়ামন্ত্রীর

breakingnews ক্রীড়া রাজনীতি রাজ্য

মৃণালকান্তি সরকার, কলকাতা: জলপাইগুড়িতে বিশ্ব বাংলা ক্রীড়াঙ্গন নিয়ে এবার কেন্দ্রের দিকে আঙুল তুললেন রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। স্পোর্টস অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার (সাই) হাতে তুলে দেওয়া ক্রীড়াঙ্গন অবহেলায় আগাছার স্তূপে পরিণত হয়েছে বলে তাঁর অভিযোগ। অবিলম্বে প্রশিক্ষণ শুরু না হলে চুক্তি ছেড়ে বেরিয়ে আসার তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

ফুটবল থেকে তিরন্দাজি, অ্যাথলেটিক্স থেকে বাস্কেটবল, বিশাল ক্রীড়াঙ্গনে থাকবে সমস্ত ধরনের খেলার সুযোগ, উন্নত প্রশিক্ষণ পেয়ে তৈরি হবে দক্ষ ক্রীড়াবিদ। এমনই আশায় জলপাইগুড়িতে তৈরি হয়েছিল বিশ্ব বাংলা ক্রীড়াঙ্গন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের এই প্রজেক্ট এখন আগাছায় ভরা। ফুটবল মাঠের গোলপোস্টে বড় বড় ঘাস।

বিধানসভায় আজ বুধবার শীতকালীন অধিবেশনে প্রশ্নোত্তরপর্বে বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের প্রশ্নের উত্তরে ক্রীড়ামন্ত্রী জানান, দক্ষ ক্রীড়াবিদ তৈরির উদ্দেশে ১১০ কোটি টাকা দিয়ে রাজ্য সরকার ওই বিশ্বমানের স্টেডিয়াম তৈরি করে। ২০১৬ সালের ডিসেম্বর মাসে মউ স্বাক্ষরিত করে এই ক্রীড়াঙ্গন সাইয়ের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল।

ক্রীড়ামন্ত্রীর অভিযোগ, এত বড় পরিকাঠামো পেয়েও সাই তা কোনওভাবেই কাজে লাগায়নি। সেখানে ৭ টা ক্রীড়া বিভাগের সূচনা করার কথা। অথচ এখন সেখানে গরু চড়ছে! এ বিষয়ে ৪ কেন্দ্রীয় ক্রিড়ামন্ত্রীকে জানালেও আজ অবধি কিছু  হয়নি। বিধায়কদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে ক্রিড়ামন্ত্রী আরও জানান, রাজ্য সরকার পুরুলিয়ায় ৬টি, উত্তর ২৪ পরগনায় ১ টি হকি স্টেডিয়াম, সল্টলেক স্টেডিয়াম সহ ১৮টি নতুন স্টেডিয়াম ও ২৭টি সংস্কার সহ মোট ৫৮টি স্টেডিয়াম গড়ে তুলেছে। বারাসাতে আন্তজার্তিক মানের স্টেডিয়াম গড়ে তোলা হয়েছে। এছাড়াও ৪২৪টি নানাবিধ খেলার জন্য খেলার মাঠ তৈরি করা হয়েছে।

জলপাইগুড়ির বিশ্ব বাংলা স্টেডিয়াম প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস বলেন, ‘এর আগে বিধানসভায় বিধায়ক অশোক দিন্দা বলেছিলেন, কেন্দ্রীয় সরকার এ বাবদ ৫০ কোটি টাকা দিয়েছে। এটা সর্বৈব মিথ্যা। এবিষয়ে মাননীয় সদস্যকে নথি জমা দেওয়ার কথা বললেও আজও তা জমা দেননি। বিধানসভায় ভুল তথ্য দেওয়ার জন্য ওই বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যাবস্হা নেওয়ার জন্য ক্রীড়ামন্ত্রী আবেদন জানান। যদিও অশোক দিন্দার পাল্টা দাবি, নিজের বক্তব্যের স্বপক্ষে লিখিত নথি তিনি বিধানসভায় জমা দিয়েছেন।