Sudeshna Roy: বিপাকে সুদেষ্ণা রায়, শুটিং শুরুর আগেই বিনা নোটিসে কাজ ছাড়লেন সহকর্মীরা

কলকাতা পেজ 3

নিউজ পোল ব্যুরো: চলচ্চিত্র জগতে স্বপ্ন দেখা সহজ, কিন্তু সেই স্বপ্নকে রূপ দিতে গিয়ে বহুবার বাধার মুখে পড়তে হয়। ঠিক তেমনই একটি দুঃখজনক পরিস্থিতির মুখোমুখি হলেন বিশিষ্ট চলচ্চিত্র নির্মাতা সুদেষ্ণা রায় (Sudeshna Roy)। তাঁর নতুন ছবি ‘স্বপ্ন হলেও সত্যি’ নামের মতোই এখন এক গভীর বাস্তবতার মধ্যে পড়েছে।

আরও পড়ুন: Sonakshi Sinha: ‘প্রথমে তোর বাবা-মা ডিভোর্স করুক!’ – নিন্দুকে ধুয়ে দিলেন সোনাক্ষী

সব পরিকল্পনা, প্রস্তুতি, লোকেশন, স্ক্রিপ্ট, এবং শুটিং-এর দিনক্ষণ সব কিছুই ঠিকঠাক ছিল। ১৮ই এপ্রিল থেকে উত্তর কলকাতার একটি পুরনো বাড়িতে শুরু হওয়ার কথা ছিল ছবির প্রথম পর্যায়ের শুটিং (Shooting)। আজ থেকেই শুরু হওয়ার কথা ছিল সেট নির্মাণের কাজ। কিন্তু সেই স্বপ্নভঙ্গ হল আচমকাই।

গত এক মাস ধরে তিনি (Sudeshna Roy) তাঁর টিমের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে প্রতিটি দিক সামলে এগিয়ে যাচ্ছিলেন। যাদের সঙ্গে কাজ করার কথা ছিল তারা কেউ নতুন নয়। বহু পুরনো, বিশ্বস্ত সহকর্মী। আগেও একাধিক ছবিতে একসঙ্গে কাজ করেছেন। কিন্তু হঠাৎ একে একে প্রোডাকশন ম্যানেজার (Production Manager), আর্ট ডিরেক্টরসহ অনেকেই জানিয়ে দিলেন যে, তাঁরা এই ছবির সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারবেন না।

এরপর বিকল্প খোঁজা শুরু হয়, বিভিন্ন টেকনিশিয়ান, কলাকুশলীদের নাম পাঠানো হয় গিল্ড ও ফেডারেশনে। কিন্তু অদ্ভুতভাবে জানা যায় যে, অনেকে এই ছবির সঙ্গে কাজ করতেই চাইছেন না। তবে এর কারণ কী? কেউ সুস্পষ্ট করে কিছুই বলছেন না। সরাসরি মুখোমুখি না হয়ে যেন এক অলিখিত নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে তাঁর উপর।

এই পরিস্থিতি নিয়ে তিনি ইতিমধ্যে গিল্ড ও ফেডারেশনকে চিঠি দিয়েছেন। তিনি বলেন, “আমি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছি, কিন্তু সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন আমার প্রযোজক। একজন শিল্পীর স্বপ্ন ভেঙে যাওয়া কতোটা কষ্টকর, সেটা আমি হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি।”

নিউজ পোল বাংলা ইউটিউব লিঙ্ক: https://youtube.com/@newspolebangla?si=mYrQvXTBQ1lG3NFT

তাঁর নতুন ছবির শুটিং শুরু হওয়ার আগে দীর্ঘদিনের সহকর্মীরা হঠাৎ করেই কাজ থেকে সরে দাঁড়ালেন। যাদের সঙ্গে তিনি বহু বছর ধরে একসঙ্গে কাজ করেছেন, যাদের ওপর নির্ভর করে ছবির পরিকল্পনা সাজিয়েছিলেন, সেই পরিচিত মুখগুলিই অজানা কারণে এখন পাশে নেই।

সুদেষ্ণা রায় (Sudeshna Roy) বলেন, “আমি বিধ্বস্ত। এটা শুধু পেশাগত নয়, একেবারে ব্যক্তিগত আঘাত। এত বছর ধরে যাদের সঙ্গে একসঙ্গে পথ চলেছি, তারা যদি কোনো কথা না বলেই এইভাবে বেরিয়ে যায়, তা হলে একজন পরিচালক হিসেবে তো বটেই, একজন মানুষ হিসেবেও সেটা অনেক বড় ধাক্কা। কেউ মুখে কিছু বলেনি, লিখিতভাবে তো নয়ই। একে একে সবাই কাজ ছেড়ে চলে গেল—কেন কী কারণে আমি আজও জানতে পারিনি।”