ই-রিক্সার নামে বাড়বাড়ন্ত বেআইনি টোটোর! গ্রেফতার অভিযুক্তরা

জেলা রাজ্য

নিজস্ব প্রতিনিধি, চন্দননগর: ই-রিক্সার নাম করে বাড়ছে বেআইনি টোটোর সংখ্যা, অভিযোগ ছিল বহুদিনের। এবার টোটো শুমারী শুরু হতেই পর্দা ফাঁস করলেন খোদ পুরপ্রধান। বেআইনি টোটোর কারবার বন্ধ করতে উদ্যোগী হন পুরপ্রধান। কোন্নগরে হাতেনাতে ধরলেন বেআইনি টোটোর কারবার।

প্রসঙ্গত বহুদিনের অভিযোগ মূলত টোটোর কারণে যানজট বাড়ছে শহরতলী এলাকায়। তাই টোটো নিয়ন্ত্রণে এর আগেও একাধিকবার পদক্ষেপ নেওয়ার কথা শোনা যায় বিভিন্ন ক্ষেত্রে। এমনকি এই বিষয়টিকে সামনে রেখে বার্তা দিয়েছিলেন রাজ্যের খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই উদ্যোগকে সামনে রেখেই বিভিন্ন দিকে চলছে প্রচেষ্টা।

সেইমতোই পরিবহন দফতরের নির্দেশে টোটো শুমারি শুরু হয়েছে গত মাস থেকে। এরই মধ্যে কাজ শুরু হয়েছে চন্দনগর কর্পোরেশন এলাকায়। টোটো শুমারি শুরু করা হয়েছে কোন্নগর পুরসভাতেও। শহরে চলা টোটোর সংখ্যা জানতে তৈরি করা হয়েছে বিশেষ ক্যাম্প। সেখানেই ভাগাড়মোরের পুর প্রধান স্বপন দাস ফাঁস করেন বেআইনি টোটো চলাচলের বিষয়টি। এদিন কয়েকজন পুরসভার কর্মীকে নিয়ে একটি গ্যারেজে হানা দেন। সেখানেই দেখা যায় নকল ইঞ্জিন ও চেসিস নম্বর বসানো হচ্ছে টোটোতে।

জানা যায়, কলকাতা থেকে নাম্বারিং করার মেশিন কিনে এনে এই কারবার চলছিল বহুদিন। তৎক্ষণাৎ সেই মেসিন সহ দু’জনকে আটক করেন। পরবর্তীতে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয় তাঁদের। পুর প্রধান বলেন, ‘সরকারকে ফাঁকি দিয়ে বেআইনি কাজ চলছিল জানতে পারি। কয়েকটি টোটোতে নতুন নম্বর দেখে সন্দেহ হয়। আজ ওই গ্যারেজে তাঁদের হাতেনাতে ধরি। যে সংস্থা টোটো বা ই-রিক্সা তৈরি করে তার ইঞ্জিন ও চেসিস নম্বর থাকে। যা দিয়ে বোঝা যায় কোন সংস্থার সেটি। কিন্তু এক্ষেত্রে লোকাল লেদ বা গ্যারাজে এই ভাবে টোটো তৈরি করা হচ্ছে যা গোটাটাই বেআইনি। এই কারবার চলতে দেওয়া যাবে না।’

এই বিষয়ে অবশ্য অভিযুক্ত গ্যারেজের মালিক স্বীকার করেছেন নিজের অন্যায়। এই কাজ করা উচিৎ হয়নি বলে মেনে নিয়েছেন তিনি।