নিউজ পোল ব্যুরো: জগন্নাথ মন্দির (Jagannath Temple) উদ্বোধন ঘিরে এবার রাজনীতির পারদ চড়ছে। রবিবার সকালে কলকাতা বিমানবন্দরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta) স্পষ্ট ভাষায় তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) উদ্দেশে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন।
সুকান্তর (Sukanta) বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) শুধুমাত্র ধর্মীয় বিশ্বাসের জায়গা থেকে এই উদ্বোধনে অংশ নেননি, বরং এর মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে রাজনৈতিক কৌশল। তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী জগন্নাথ মন্দির (Jagannath Temple) উদ্বোধনের পাশাপাশি একটি কালচারাল সেন্টারও চালু করছেন, এটি নিছক ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয়, বরং হিন্দু ভোটব্যাঙ্কে চোখ রেখে সাজানো এক পরিকল্পিত পদক্ষেপ।” লোকসভা ভোটের আগে রাজ্যে হিন্দু আবেগকে ছুঁয়ে রাজনৈতিক মেরুকরণে তৃণমূলও যে পিছিয়ে নেই, তা বোঝানোই যেন উদ্দেশ্য।
আরও পড়ুন: Digha Jagannath Temple: জগন্নাথদেবের প্রাণপ্রতিষ্ঠাকে কেন্দ্র করে রাজকীয় আয়োজন
এদিন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta) বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধন নিছক ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয়, বরং রাজনৈতিক বার্তা স্পষ্ট। শুধু জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধন করবেন না জগন্নাথ কালচারাল সেন্টার উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) সেটা আগে ক্লিয়ার করুক। হিন্দু ভোটব্যাঙ্ককে ছুঁতে তৃণমূল যে এবার কৌশলী পথে হাঁটছে, তা স্পষ্ট এই কর্মসূচিতে। বিশেষ করে যখন লোকসভা নির্বাচন আর বেশি দূরে নয়, তখন ধর্মীয় আবেগকে ছুঁয়ে রাজনৈতিক মেরুকরণ এক পুরনো কিন্তু কার্যকরী অস্ত্র।
তবে উদ্বোধনের দিনে বিজেপির নীরবতা নিয়ে নানা মহলে প্রশ্ন উঠেছে। একই দিনে পাল্টা কোনও কর্মসূচি না নেওয়ায় রাজনীতির অন্দরে গুঞ্জন! এটা কি শুধুই কাকতালীয়, না কি একটি বৃহত্তর রাজনৈতিক কৌশলের অংশ?
এ প্রসঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকার দুই বৃহৎ দলের ‘সফট হিন্দুত্ব’ কৌশলকে তুলোধোনা করেছেন। তিনি বলেন, “ধর্মকে রাজনীতির হাতিয়ার বানিয়ে মানুষের মৌলিক সমস্যা থেকে দৃষ্টি ঘোরানো হচ্ছে।”
অন্যদিকে, শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগ নিয়ে হাইকোর্টের শুনানি এবং তরুণ প্রজন্মের বেকারত্বের ইস্যু রাজনীতির মানবিক দিকটিকেও সামনে নিয়ে আসছে।
নিউজ পোল বাংলা ইউটিউব লিঙ্ক: https://youtube.com/@newspolebangla?si=mYrQvXTBQ1lG3NFT
পাশাপাশি, পাকিস্তানের রেলমন্ত্রীর পারমাণবিক হুমকি ও পাঠানকোট সফর ঘিরে জাতীয় নিরাপত্তা এবং আন্তর্জাতিক কূটনীতিও এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে।