হত্যার ঘটনায় দায়ী সলমন! বিশ্বাস তাদের। কিন্তু কেন? জানেন শত্রুতার কারণ?
নিউজ পোল ব্যুরো: ফের শ্যুটিং সেটে সলমনকে হুমকি, তৎক্ষণাৎ গ্রেফতার।
বুধবার রাতে ফের শ্যুটিং সেটেই সলমনকে খুনের হুমকি! মুম্বইয়ের দাদারে শুটিং লোকেশনের কাছ থেকে গ্রেফতার এক।
জানা গিয়েছে মাটুঙ্গায় রেললাইনের কাছে শুটিং করছিলেন সলমন। তখনই আচমকা ওই এলাকায় ঢুকে পড়েন ওই ব্যক্তি। সলমন খানের কাছ থেকেই জানা যায় ব্যক্তির পরিচয়। ওই ব্যক্তি হলেন গ্যাংস্টার লরেন্স গ্রুপের সদস্য। যার সঙ্গে দীর্ঘদিনের শত্রুতা সলমন খানের।
তৎক্ষণাৎ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় পুলিশ, গ্রেফতার করা হয় ব্যক্তিকে। শ্যুটিং স্পট থেকে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শিবাজি পার্ক থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
সূত্রের খবর সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বিষ্ণোই গ্যাংয়ের কাছ থেকে বেশ কয়েকবার হুমকি পেয়েছেন সলমন।
এপ্রিল মাসে, দুই বন্দুকধারী তাঁর বান্দ্রার বাড়ির কাছে গুলি করে। ঘটনার সূত্রপাত ১৯৯৮ সালে, যখন সলমনের বিরুদ্ধে দু’টি কৃষ্ণসার হরিণ হত্যার অভিযোগ আনা হয়।
আসলে বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের কাছে কৃষ্ণসার হরিণ সবচেয়ে পবিত্র। আর সেই হরিণে হত্যা ওই সম্প্রদায়ের কাছে গুরুতর অপরাধ। তাই এই হরিণ হত্যার পর থেকে ক্রমশই বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের কাছে শত্রু হয়ে ওঠেন সলমন খান। জানা যায় সলমনের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন লরেন্স বিষ্ণোই।
তবে সলমনের বিরুদ্ধে লাগাতার হুমকির অভিযোগ এসেছে এর আগেও। মাত্র কয়েক মাস আগেই অক্টোবরে ঘটে এমনই একটি ঘটনা। সলমনকে হুমকি দিয়ে ৫ কোটি টাকা চাওয়ায় গ্রেফতার করা হয় জামশেদপুরের এক সবজি বিক্রেতাকে।
কয়েকদিন পর ফের চাওয়া হয় ২ কোটি টাকা। টাকা চেয়ে হুমকি দেওয়া হয় সেবারেও। সেবারেও তড়িঘড়ি অতিরিক্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয় অভিনেতার জন্য। মুম্বই পুলিশ অতিরিক্ত নিরাপত্তার জন্য এআই-চালিত সিসিটিভি ক্যামেরাও স্থাপন করে বলে জানা যায়।