Kashmir Issue: কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে রক্তাক্ত হামলার ছায়া, যুদ্ধের আশঙ্কায় তপ্ত উপমহাদেশ

আন্তর্জাতিক দেশ

নিউজ পোল ব্যুরো: কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে (Kashmir Issue) ভয়াবহ জঙ্গি হানায় পর্যটক-সহ ২৬ জনের নির্মম মৃত্যু রীতিমতো নাড়িয়ে দিয়েছে ভারতবাসীকে। দেশের মাটিতে এত বড় সন্ত্রাসবাদী আক্রমণ (Kashmir Issue) শুধু প্রাণহানিই ঘটায়নি, তুলে দিয়েছে বড়সড় প্রশ্ন দেশের নিরাপত্তা এবং সীমান্ত-নিয়ন্ত্রণ নিয়ে। গোটা ঘটনার জন্য প্রত্যক্ষভাবে পাকিস্তানকে দায়ী করেছে ভারত। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, হামলাকারী চার জঙ্গির মধ্যে দুইজন পাকিস্তানের (Pakistan) নাগরিক। যদিও জঙ্গি সংগঠন টিআরএফ প্রথমে দায় স্বীকার করে পরে সেই দাবি থেকে সরে আসে।

আরও পড়ুন: Kolkata: মেছুয়া বাজারের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে প্রাণহানি বেড়ে ১৪, প্রধানমন্ত্রীর অর্থসাহায্যের ঘোষণা

এই উত্তপ্ত আবহেই মঙ্গলবার (Tuesday) গভীর রাতে পাক সম্প্রচারমন্ত্রী আতাউল্লা তাহার একটি বিবৃতি ঘিরে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। সোশাল মিডিয়ায় (Social Media) প্রকাশিত ভিডিও বার্তায় তিনি জানান, “ আগামী ২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে ভারত পাকিস্তানের (India-Pakistan) বিরুদ্ধে বড় সেনা অভিযান চালাতে পারে।” একদিকে এই আশঙ্কার কথা বললেও, অন্যদিকে পাক মন্ত্রী বলেন, “পাকিস্তানও (Pakistan) সন্ত্রাসবাদের শিকার। আমরা যন্ত্রণা বুঝি এবং সব ধরনের জঙ্গি কার্যকলাপের নিন্দা করি। ভারতের কাছে আহ্বান, এই ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত হোক আন্তর্জাতিক পর্যায়ে।”

তবে সতর্কবার্তা দিয়ে তিনি স্পষ্ট বলেন, যদি ভারত একতরফা হামলার (Kashmir Issue) সিদ্ধান্ত নেয়, তবে পাকিস্তানও শক্ত প্রতিরোধে প্রস্তুত। তাঁর মতে, “ভারতের পদক্ষেপ যদি সংঘর্ষের দিকে নিয়ে যায়, তাহলে তার দায়ভার ভারতকেই নিতে হবে। পাকিস্তান নিজের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আপসহীন।”

এই পরিস্থিতির মধ্যে ভারতের প্রতিক্রিয়া এসেছে দ্রুতগতিতে। প্রধানমন্ত্রী মোদীর (Narendra Modi) নেতৃত্বে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেনাকে পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া হবে। অর্থাৎ প্রতিক্রিয়া হতে পারে তাৎক্ষণিক ও প্রবল।

নিউজ পোল বাংলা ইউটিউব লিঙ্ক: https://youtube.com/@newspolebangla?si=mYrQvXTBQ1lG3NFT

এই কূটনৈতিক ও সামরিক চাপানউতোরে একদিকে যেমন যুদ্ধংদেহী পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, তেমনই আন্তর্জাতিক স্তরেও নজর টেনেছে এই সঙ্কট। দুই পারমাণবিক শক্তিধর রাষ্ট্রের মুখোমুখি অবস্থান গোটা উপমহাদেশের স্থিতিশীলতার পক্ষে অত্যন্ত বিপজ্জনক। প্রশ্ন একটাই! আসন্ন ঘন্টার মধ্যে উপমহাদেশে কি ছড়িয়ে পড়বে যুদ্ধের আঁচ?